- সিলেট ন্যায্য দাবী থেকে বঞ্চিত: আরিফুল হক
- যাত্রীকে বেঁধে রাখা হলো বিমানে
- প্রবাসীর স্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন : ঘর দখল করে তালা ভেঙ্গে লুটপাট করেছে দেবর সুবেল
- চট্রগ্রামে সাংবাদিকদের উপর হামলার প্রতিবাদে সিলেটে মানববন্ধন
- ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক, দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেন উদ্ধারে বিলম্ব
- জেলা প্রশাসক সারওয়ার আলম একটি পরিবেশবান্ধব নগরায়নে বদ্ধপরিকর
- বর্তমান সরকার দেশকে বিদেশের কাছে বন্ধক রেখে দিয়েছে
- যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি এম এ মালিককে দলের সতর্কতামুলক নোটিশ
- এসিল্যান্ডের গাড়ীচাপায় পরপারে মদনমোহন কলেজ সহকারী
- ব্যাটারীচালিত রিকশা ও হকারমুক্ত ফুটপাতে সিলেটের গণমানুষ ঐক্যবদ্ধ
» ধন্যবাদ জানাতে বাবুলের অফিসে ছুটে গেলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
প্রকাশিত: ১৩. ডিসেম্বর. ২০২৩ | বুধবার

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান এমপি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। আসনটিতে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী ছিলেন গত সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ও এবারের সংসদ নির্বাচনে সিলেট-৩ আসনের দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী মহানগর জাপা’র আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে সিলেট-৩ আসন থেকে মনোনয়ন না দিয়ে সিলেট-১ আসনে প্রার্থী হতে বলায় দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়েছেন বাবুল।
বাবুলের এই ‘ত্যাগে’ তাঁকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে হঠাৎ তাঁর সিলেট গোটাটিকরস্থ ব্যবসায়ীক কার্যালয়ে গিয়ে হাজির হন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। কুশল বিনিময় করেন বাবুলের সঙ্গে, জানান ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন- এই মানুষটির (বাবুল) আমার কোনো সখ্যতা নেই। নির্বাচন বিষয়ে কোনো আলাপও হয়নি। কিন্তু একটি ভিডিও দেখে তাঁর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতাবোধ তৈরি হলো। তিনি বলেছেন- আমার জন্য তিনি দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাই আমার মনে হলো- তাঁর সঙ্গে একবার দেখা করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসময় আরো বলেন- তিনি (বাবুল) সদ্য অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। সেটি কম কথা নয়। তিনি চাইলেই সিলেট-১ আসনে আমার বিরুদ্ধে লড়তে পারতেন। কিন্তু আমার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন, মনে হয়েছে তাঁর অন্তরটা বিশাল। তাঁর এই ছাড় দেওয়া সিলেটের সম্প্রীতির রাজনীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
এসময় পরাষ্ট্রমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা জাতীয় পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল সাংবাদিকদের বলেন- মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার একটি অভিজাত পরিবার। তাঁর ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নের অনেক কিছু করেছেন। তিনিও (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সিলেটের জন্য। এ অবস্থায় সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করাকে আমি উচিত মনে করিনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এতে যদি দল আমাকে বহিষ্কার করে তবু আমার কিছু যায় আসে না। কারণ- আমি পদের লোভে রাজনীতি করি না।
[hupso]