- সিলেট সিটি করপোরেশন ৩ ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার লায়েক গ্রেফতার
- সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে ইটনা- মিঠামইন-অস্ট্রগ্রাম সড়ক ভাঙ্গা হবে
- সিলেটে পুলিশের ৩ পদে অদল-বদল
- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
» সিলেটে কোরবানীর পশুর সংকট নেই, চাহিদার চেয়ে বেশি
প্রকাশিত: ০৫. জুন. ২০২৪ | বুধবার
সিলেটে এবার কোরবানির ঈদে ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১ পশুর চাহিদা রয়েছে। তবে বিভাগজুড়ে জবাইয়ের জন্য সাড়ে ৪ লাখ গবাদি পশু প্রস্তুত রয়েছে। তবে সিলেটের চার জেলার মধ্যে একমাত্র মৌলভীবাজারে কোরবানিযোগ্য পশুর ঘাটতি রয়েছে।
আজ বুধবার (৫ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়। প্রাণিসম্পদ বিভাগ জানিয়েছে, সিলেট বিভাগে স্থানীয়ভাবে প্রস্তুত আছে ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি। উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬ পশু।
মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হয় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, শুক্রবার বাংলাদেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার কথা। সেক্ষেত্রে দেশে আগামী ১৭ জুন ঈদুল আজহা উদযাপিত হতে পারে।
সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় জানায়, কোরবানির ঈদে এ বছর সিলেট বিভাগে প্রায় ৩ লাখ ৯৪ হাজার ২৫১টি পশু চাহিদা রয়েছে। তবে কোরবানিযোগ্য ৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৯৭টি পশুর মজুত রয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ১৮০টি ষাঁড়, ৪৯ হাজার ১০৩টি বলদ, ৩৩ হাজার ৩৭৫টি গাভি, ৪ হাজার ৫৩৩টি মহিষ, ১ লাখ ৩৪ হাজার ১৪৩টি ছাগল, ৭০ হাজার ৯৫৩টি ভেড়া ও ১১০টি অন্য পশু রয়েছে।
এ বছর সিলেট জেলায় ১ লাখ ৫০ হাজার ৭০৯টি পশুর চাহিদা আছে। জেলায় প্রস্তুত আছে ১ লাখ ৮০ হাজার ৯২১টি পশু। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৫৪০টি ষাঁড়, ৩২ হাজার ৪টি বলদ, ৬ হাজার ১৫১টি গাভি, ২ হাজার ৩৯২টি মহিষ, ৫৬ হাজার ৯২টি ছাগল, ২২ হাজার ৭৩৭টি ভেড়া ও অন্য ৫টি পশু রয়েছে। এবার কোরবানির চাহিদা পূরণ করে জেলায় ৩০ হাজার ২১২টি পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
সুনামগঞ্জে প্রস্তুত আছে ৬২ হাজার ৬৮৮টি পশু। এর মধ্যে ২৩ হাজার ৪৫৩টি ষাঁড়, ৭ হাজার ৫৮৪টি বলদ, ৭ হাজার ১২৫টি গাভি, ৪৯২টি মহিষ, ১৩ হাজার ১৫৭টি ছাগল, ১০ হাজার ৮২৬টি ভেড়া ও ৫১টি অন্য পশু রয়েছে। জেলাটি এবার চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে ৮ হাজার ৩২৬টি পশু।
হবিগঞ্জে জেলায় প্রস্তুত আছে ১ লাখ ২ হাজার ৯৭৬টি পশু। এর মধ্যে ২৯ হাজার ৮৯৪টি ষাঁড়, ৫ হাজার ২৬৪টি বলদ, ১৩ হাজার ৪২টি গাভি, ৬৫১টি মহিষ, ৩২ হাজার ৬০৮টি ছাগল, ২১ হাজার ৫১৫টি ভেড়া ও ২টি অন্য পশু রয়েছে। জেলাটিতে কোরবানির চাহিদা পূরণ করে উদ্বৃত্ত থাকবে ১২ হাজার ৩৩৮টি পশু।
মৌলভীবাজারে প্রস্তুত আছে ৮৩ হাজার ৮১২টি পশু। এরমধ্যে ২৩ হাজার ২৯৩টি ষাঁড়, ৪ হাজার ২৫১টি বলদ, ৭ হাজার ৫৭টি গাভি, ৯৯৮টি মহিষ, ৩২ হাজার ২৮৬টি ছাগল, ১৫ হাজার ৮৭৫টি ভেড়া ও ৫২টি অন্য কোরবানিযোগ্য পশু রয়েছে। বিভাগের একমাত্র এই জেলাটিতে ১৪ হাজার ৭৩০টি কোরবানিযোগ্য পশুর ঘাটতি রয়েছে।
এ ব্যাপারে সিলেট বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অফিসের পরিচালক ডা. মারুফ হাসান জানান, এবার সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর কোনো ঘাটতি নেই। বরং উদ্বৃত্ত আছে ৩৬ হাজার ১৪৬টি পশু। বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এবার সিলেট বিভাগে পশুর উৎপাদন বেড়েছে।
গত বছর ঈদুল আজহায় সিলেট বিভাগে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ২ লাখ ৩৪ হাজার ৮১৯টি। চাহিদা ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ২৯৩টি পশুর। ঘাটতি ছিল প্রায় ১ লাখ ৫৮ হাজার ৪৭৪টি পশুর।
[hupso]