» সাবেক মেয়র কামরান দায়িত্বকে এবাদত মনে করতেন আজ তাঁর প্রয়াণ দিবস

প্রকাশিত: ১৫. জুন. ২০২৪ | শনিবার

জনতার কামরান দায়ুিত্বকে এবাদত মনে করতেন তাই
অসুস্থতা কিংবা কোনো অজুহাতে অফিসে অনুপস্থিতি তাঁর স্বভাব বিরুদ্ধ ছিলো।নাগরিক সেবার এক অনন্য দৃষ্টান্ত তৈরী করে ছিলেন। সেবা গ্রহিতা কাউকে তার সই কিংবা নির্দেশনার জন্য দিনের পর দিন সিটি করপোরেশনে এসে অপেক্ষা করতে হতোনা। অবাক করার বিষয় ছিলো অসুস্থতা কিংবা কোনো প্রোগ্রামে থাকলে কেউ কোনো দরখাস্ত নিয়ে গেলে সেখানেই সাইন করে বলতেন অফিসে গিয়ে সিল মেরে নিয়ে যাবেন।
সিসিকের জননন্দিত মেয়র, মহানগর আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৫ জুন- শনিবার)। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২০২০ সালের এই দিনে তিনি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছিলেন।

করোনা উপসর্গ থাকায় ২০২০ সালের ৫ জুন সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজের ল্যাবে নমুনা পরীক্ষা করান ৬৯ বছর বয়সী কামরান। তাতে তিনি করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বলে শনাক্ত হন। ওই বছরের ২৭ মে তার স্ত্রী আসমা কামরানও করোনায় আক্রান্ত হন।

কামরানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৭ জুন ঢাকায় নিয়ে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তাকে প্লাজমা থেরাপিও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় অমোঘ মৃত্যুর কাছে। ১৫ জুন ওই হাসপাতালেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। পরে তাঁর মরদেহ সিলেটে নিয়ে এসে মানিকপীর টিলায় দাফন করা হয়।

১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় ১৯৭৩ সালে তিনি প্রথমবার সিলেট পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে হন সিলেট পৌরসভার চেয়ারম্যান।

২০০২ সালে সিলেট পৌরসভা সিটি করপোরেশনে উন্নীত হওয়ার পর কামরান ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনোনীত হন। ২০০৩ সালে সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনে জিতে মেয়র পদ ধরে রাখেন তিনি। ২০০৭-০৮ সালে সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আরও অনেক রাজনীতিবিদের মত কামরানকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সে সময় জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা কামরান কারান্তরীণ থেকেও নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হন।

তবে ২০১৩ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর কাছে হেরে গিয়ে মেয়র পদ থেকে সরে যেতে হয় কামরানকে। পরে ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি লড়েছিলেন, কিন্তু জয়ী হতে পারেননি, হারতে হয় সেই আরিফের কাছেই।

বদর উদ্দিন আহমদ কামরান ১৯৮৯ সাল থেকে সিলেট শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর ২০০২ সালে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হন। মৃত্যু অবধি ছিলেন এই দায়িত্বে। এ ছাড়া ২০১৬ সালে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পদ পান কামরান। পরের কেন্দ্রীয় কমিটিতেও একই পদে ছিলেন তিনি।

[hupso]