» সিলেট নির্বাচন অফিসের কার্যক্রমে ভুক্তভোগীদের অসন্তোষ: ড. মোমেনের উদ্বেগ

প্রকাশিত: ২৬. জুন. ২০২৪ | বুধবার

কারো মাতার নাম শিউলী এনআইডিতে রয়েছে শেফালী। একজন মুসলমান এনআইডিতে হয়ে গেছেন হিন্দু। কারো জন্ম ১৯৮৯ সালে হালনাগাদকরণের সময় ১৯৮৯ বলা হলেও লিখে এনেছে ১৯৭৯। কোথায়ও বড় বোনের জায়গায় ছোট বোনের নাম বড় বোনের জায়গায় ছোট বোনের বয়স।স্বামীর জায়গায় পিতার নাম। ছেলের ৫০ বছরের ছোট বাবার বয়স ২০ ছেলের বয়স ৭০ কারো কারো
স্থায়ী অস্থায়ী দুটোই ভুল। জৈন্তাপুরের এমনি এক মহিলা পড়েছেন বিপাকে তার স্থায়ী ঠিকানা জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামে হলেও এনআইডিতে জাফলংয়ের মোকামপাড়া রয়েছে। এনআইডি সংশোধন করতে গিয়ে যা চাওয়া হয়েছে তা মহিলার পক্ষে জোগাড় করা সম্ভব হচ্ছেনা বলে স্থায়ী ঠিকানা হচ্ছেনা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহিলার ফলে তার ওমরা করার উদ্দেশ্যে পাসপোর্ট করার ইচ্ছে থাকলেও হচ্ছেনা পাসপোর্ট।
এসব সমস্যা নিয়ে যখন ভুক্তভোগীরা জেলা নির্বাচন অফিসে আসেন, সেখানে গিয়ে তারা নানা রকম হয়রানীর শিকার, অপমান অপদস্ত হয়ে ফেরেন। দিনের পর দিন এটা আনেন ওটা করেন রাজ্যের যত কালা কানুন তখন ভুক্তভোগীর ওপর চাপিয়ে দিয়ে আপদ বিদায় করার চেষ্টা করেন কর্মকর্তারা। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জিল্লুর রহমানের অসহযোগিতা বা সেবা প্রার্থীদের সঙ্গে চোখ রাঙ্গিয়ে কথা বলা, আঙুল তোলে ধমকে বের করে দেওয়া জেলা নির্বাচন অফিসারের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ নিয়ে গত ৩ মাসে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে ত্রিশটিরও বেশি সংবাদ প্রচার হলেও নির্বাচন কমিশন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।সূত্র
জানায় কোনো মন্ত্রী বা এমপি আওয়ামিলীগ নেতা যে কারো অনুরোধ নিয়ে গেলে জিল্লুর রহমান তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেন। অনুরূপ অভিযোগ সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম খানের বিরুদ্ধে রয়েছে মন্ত্রী এমপি কারো অনুরোধই তিনি রাখেন না বরং হিতে বিপরীত হয়েছে এমন অনেক মন্ত্রী এমপি ও আওয়ামীলীগ নেতার অনুরোধ। এসব বিষয়ে জানতে সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল হালিম খানকে ফোন দিলে ফোন রিসিভ করেননি।হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও

অনুসন্ধানে জানা যায় গত দুই বছরে সিলেটের কয়েক হাজার তরুন- তরুণী এনআইডির ত্রুটির কারণে বিদেশ যেতে পারেননি। বছরের পর বছর আবেদন ঝুলে আছে। সুলতানা নামের বিয়ানী বাজারের এক মহিলা জানান ৩ বছর ধরে তার আবেদনটি হ্যাং হয়ে আছে।প্রথম আবেদনটি এ্রুটিপুর্ণ ছিলো বিয়ানী বাজার অফিস সিলেটে আসতে বলে ,এখানে এসে জানতে পারেন তার আবেদনটি হ্যাং হয়ে রয়েছে সিলেট অফিস আবারো বিয়ানীবাজারে সমাধান করতে বলে এরপর তিনি ঢাকায় জরুরী ১০৫ বহু যোগাযোগ করেছেন তার আবেদনটি ক্যানসেল হয়নি যে কারণে নতুন করে আবেদন করতে পারছেন না।
জলিল আহমদ নামের এক ট্রাভেল ব্যবসায়ী জানান নতুন দুই কর্মকর্তা আসার পর থেকে সিলেটের অসংখ্য আবেদন ঢাকায় পাঠিয়ে দিচ্ছে। তিনি জানান একজন সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা বারো থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত বয়স সংশোধন করতে পারেন কিন্ত সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা ৭/৮ বছর বয়স সংশোধনী তিনি ঢাকায় প্রেরণ করছেন নতুবা উপজেলায় একগাদা বিষয় পুনরায় সাবমিট করার জন্য পাঠিয়ে দিচ্ছেন, বাবা, ‘মা’র এনআইডি, উত্তরাধিকার সনদ, প্রত্যয়নপত্র, ভাই বোনের এনআইডি, স্কুল সার্টিফিকেট, প্রথমশ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক এভিডেভিড সহ আরো অনেক ডকুমেন্ট যা সংগ্রহ করতে আবেদনকারীর হয় ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছেতো না হয় আবেদনের সময় শেষ হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের এহেন কর্মকান্ডে যারপর নাই ক্ষতি হচ্ছে সিলেটের তরুণ তরুণী এবং বিদেশ যাত্রীদের। সোহান আহমদ জানান গত দুই সপ্তাহ আগে আবপদন করলেও এখনও তার আবেদনের ক্যাটাগরি সিলেক্ট হয়নি তিনি বিদেশ যেতে চান। চাকুরী প্রার্থীরা পড়েছেন ভীষণ বিপাকে এসব বিষয় জেনে স্থানীয় সংসদ সদস্য সিলেট ১ আসনের সাংসদ সিলেটের কৃতি সন্তান পররাষ্ট মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড একে এ মোমেন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি বিষয়টি প্রধান নির্বাচন কিমনারকে অবহিত করে নির্বাচন অফিসার এবং অফিসের এহেন কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে খতিয়ে দেখতে তিনি অনুরোধ করেছেন। তিনি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এতদসংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের ভিডিও নির্বাচন কমিনারকে পাঠান।

[hupso]