- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
- আজ সিলেট মুক্ত দিবস
» বিপৎসীমার উপরে কুশিয়ারায়,সুরমায় কমেছে জল
প্রকাশিত: ২৩. আগস্ট. ২০২৪ | শুক্রবার
বৃহস্পতিবার- শুক্রবার দুইদিন বৃষ্টি না হওয়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানি কিছুটা কমেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তথ্য অনুযায়ী, টানা ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে গত দুই দিন সিলেটের নদ-নদীর পানি বেড়েছে। তবে জেলার কোথাও বনা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আজ শুক্রবার সকাল নয়টা পর্যন্ত সিলেটের কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ, শেওলা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও শেরপুর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গতকালও ওই চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপরে ছিল। তবে আজ পানি কিছুটা কমেছে।
এদিকে গত কয়েক দিনের তুলনায় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ অনেকটাই কমেছে বলে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। তাদের সূত্র অনুযায়ী, আজ সকাল ছয়টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে গত মঙ্গলবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টায় জেলায় ২১৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় সিলেটে ৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারী বৃষ্টি ও ঢলের কারণে সিলেটে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি কিছুটা বেড়েছিল। তবে তা আশঙ্কাজনক নয়। আজ বৃষ্টিপাত খুব বেশি না হওয়ায় পানি কমতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত জেলায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
পাউবো সূত্রে জানা গেছে, সুরমা, কুশিয়ারা, লুভা, সারি, ডাউকি, সারি-গোয়াইন, ধলাইসহ জেলার সব কটি নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। এর মধ্যে আজ সকাল নয়টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর অমলশিদ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা থেকে শূন্য দশমিক ২১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। নদীটির শেওলা পয়েন্টে শূন্য দশমিক ০২ সেন্টিমিটার, ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে শূন্য দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং শেরপুর পয়েন্টে শূন্য দশমিক ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
পাউবো সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ আজ বেলা পৌনে ১১টার দিকে গণমাধ্যমকে বলেন, নদ–নদীতে পানি কমতে শুরু করেছে। তবে এখনো কুশিয়ারা নদীর চার পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলার কোথাও বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।
[hupso]