- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
- আজ সিলেট মুক্ত দিবস
» আদানি গোষ্ঠীর বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ বিপর্যয় হবে ভয়াবহ
প্রকাশিত: ০৪. নভেম্বর. ২০২৪ | সোমবার
৮৫০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া পরিশোধ না করা হলে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। বকেয়া পরিশোধে বিলম্বের কারণে এরই মধ্যে আদানি পাওয়ার ঝাড়খণ্ড গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আদানি বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দিলে এর প্রভাব সিলেটে খুব খারাপ ভাবে পড়বে। আগামীতে সিলেটে লোডশেডিং এর পরিমান ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বেড়ে যেতে পারে। যা সিলেটের জন্য মোটেও ভালো সংবাদ নয়।
পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকে আদানি গ্রুপ এক হাজার ৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার মধ্যে মাত্র ৭২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করেছে। বাংলাদেশের পায়রা, রামপাল ও এসএস পাওয়ার ওয়ানসহ অন্যান্য বড় কারখানাগুলোতেও জ্বালানি সংকটের কারণে উৎপাদন কমে গেছে। এমন অবস্থায় আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারতীয় এই প্রতিষ্ঠান।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, এমনিতেই চাহিদার তুলনায় সিলেটে বিদ্যুৎ সরবরাহ কম করা হচ্ছে। যার ফলে প্রায়েই লোডশেডিং হচ্ছে।
সিলেট বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী এক প্রকৌশলী জানান, সিলেট জেলায় প্রতিদিন ১৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ প্রয়োজন। আর বাকি তিন জেলা সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারে প্রয়োজন ৭০ মেগাওয়াট। সব মিলিয়ে সিলেটে বিভাগে প্রতিদিন প্রয়োজন ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। তবে সিলেট বিভাগে চাহিদার ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
প্রতিদিন বিভাগে ৩০ শতাংশ লোডশেডিং রয়েছে। আদানি গ্রুপ প্রায় দেড় হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি যদি সরবরাহ বন্ধ করে দেয় তবে সিলেটে লোডশেডিং এর পরিমান ৫০ শতাংশ পর্যন্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সিলেটে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন আদানি গ্রুপ গত ৩১ অক্টোবর থেকে বাংলাদেশে তাদের বিদ্যুৎ সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। বকেয়া পরিশোধ না করা হলে আগামী ৭ নভেম্বরের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে। সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হলে এর প্রভাব খারাপ ভাবে পড়বে।
এমনিতেই সিলেটে চাহিদার কম বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। এখন যদি আরো ১৫ থেকে ২০ শতাংশ বিদ্যুৎ কম সরবরাহ করা হয় তবে লোডশেডিং এর পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে আশা করা যাচ্ছে এমন পরিস্থিতি আসবে না। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।তবে সরকারী সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে সরকার আদানির বকেয়া পরিশোধ করতে আজকালের মধ্যে।
[hupso]