» মুনতাহার খুনিরা নারী, হয়ে উঠেছিলেন বর্বর নিষ্ঠুর ঘাতক!

প্রকাশিত: ১০. নভেম্বর. ২০২৪ | রবিবার

নিখোঁজের দিন যত লম্বা হচ্ছিলো, মুনতাহা ততোই হয়ে উঠেছিলো সকলের দেশ দশ ছাড়িয়ে লাখো কোটি মানুঢের । মুনতাহাকে খুঁজে পেতে সকলেই যার যার অবস্থান থেকে হয়ে উঠেছিলেন উদগ্অরীব অভিভাবক। সীমান্তের জনপদ থেকে গোটা দেশ মুনতাহার অপেক্ষায় ছিলেন মানুষ। গভীর উৎকন্ঠায় পার হয়েছে গত একটি সপ্তাহ আপনজনদের কান্না আর মানুষের দোয়ায় মুনতাহা ফিরেছে ঘরের আঙ্গিনায় প্রাণহীন দেহে।

সিলেটে শিশু মুনতাহা আক্তার জেরিন হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩ নারীকে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার ভোর রাত ৪টার দিকে বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে তুলে পুকুরে ফেলার সময় মুনতাহার লাশ উদ্ধার করা হয়। এসময় তার গলায় রশি বাঁধা ছিল। মুনতাহার নিখোঁজের পর দেশে-বিদেশে অসংখ্য মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সন্ধান চেয়ে স্ট্যাটাস দেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ধানদাতাকে ১ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। এছাড়া অনেকে শিশুটির সন্ধানদাতার জন্য বিভিন্ন রকমের পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেন।সিলেটের রেস্তোরাঁ

মুনতাহা সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের ভাড়ারিফৌদ গ্রামের শামীম আহমদের মেয়ে।

আটককৃতরা হলো- নিহত শিশু মুনতাহার প্রতিবেশী শামিমা বেগম মার্জিয়া, তার মা আলিফজান বেগম ও নানী কুতুবজান বেগম। পুলিশ তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।সিলেটের রেস্তোরাঁ

বিষয়টি নিশ্চিত করে কানাইঘাট থানার ওসি আব্দুল আউয়াল বলেন, ‘রাত ৩টার দিকে এক মহিলা মুনতাহার বাড়ির পাশের একটি খাল থেকে মরদেহ উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। সম্ভবত কোনো পুকুরে ফেলে দেওয়ার জন্য এই মরদেহটি তোলা হচ্ছিল। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টি দেখে ফেলে। আমরা আগে থেকে এলাকার কিছু মানুষকে বলে রেখেছিলাম পাহারা দেওয়ার জন্য। সে অনুযায়ী লোকজন পাহারায় ছিল। জড়িত থাকার সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছি। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’ইতোমধ্যে পুলিশ সুপার অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কানাইঘাটে পৌঁছেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ নভেম্বর সকালে বাবার সঙ্গে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরে শিশু মুনতাহা। দুপুরের দিকে বাড়ির পাশে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলাধুলা করতে যায়। কিন্তু বিকেলে বাড়ি না ফিরলে তার পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও তাকে পায়নি।

[hupso]