» হরিপুরে পাখির মাংস নিয়ে প্রতারণা থামানো যাচ্ছেনা

প্রকাশিত: ০২. অক্টোবর. ২০২৩ | সোমবার

দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে গ্রাহকদের সঙ্গে একটি বাজারের রেষ্টুরেন্ট গুলো প্রতারণা করে আসছে। হাঁসের মাংস পাঁচ থেকে ৬ রকম বিভিন্ন সাইজ করে রান্না করে নানা জাতের পাখির মাংস বলে প্রতারণা করে ব্যবসা করে আসছিলো। দেশের নানা প্রান্ত থেকে আশা ভ্রমন পিপাসু মানুষদের ঠকিয়ে আসছে এসব প্রতারক হোটেল ব্যবসায়ীরা। প্রশাসন কয়েকবার এদের জরিমানা করলেও এদের প্রতারণা থামানো যাচ্ছেনা। এ সপ্তাহেও
জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজারের বিভিন্ন রেস্টুরেন্টে পাখির মাংস রান্না করে বিক্রয় অভিযোগে উপজেলা প্রশাসন ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে।

গ্রাহকদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে হাঁসের মাংশ পাখি বলে বিক্রির প্রমাণ পাওয়ায় একটি রেস্টুরেন্ট সহ অব্যবস্থাপনা থাকা আরও কয়েকটি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম অভিযানে নেতৃত্বে দেন। এসময় জৈন্তাপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান সহ পুলিশের একটি টিম অংশ নেন।

অভিযানে সোনার বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিককে ক্রেতাদের নিকট হাঁসের মাংস ঘুঘু পাখির মাংস বলে বিক্রিরসহ রেস্টুরেন্টের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র না থাকায় বিশ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া তারু মিয়া, শাহপরাণ, চাচী হোটেল, নিউ উজান-ভাটি সহ বেশ কয়েকটি রেস্টুরেন্টকে লাইসেন্স নবায়ন ও খাবারের মূল্য তালিকা না থাকায় বিভিন্ন অংকের জরিমানা করা হয়।অভিযান পরিচালনার পরপরই আবারো সেই ছোট সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে দেওয়া হয় এখানে নানা জাতের পাখির মাংস পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আল বশিরুল ইসলাম বলেন, হরিপুর বাজারে পাখি বিক্রির অভিযোগে অতীতে উপজেলা প্রশাসন অভিযান পরিচালনা করেছিল। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আগত দর্শনার্থীদের নিকট হাঁস, রাজহাস রান্না করে পাখির মাংশ বলে বিক্রির অভিযোগ ছিল। ভবিষ্যতে এ ধরনের অভিযোগ পুণরায় প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
তিনি বাজার ব্যবসায়ী কমিটির নেতৃবৃন্দকে সকল হোটেল রেস্তোরাঁয় লাইসেন্স নবায়ন ও খবারের মূল্যতালিকা প্রদর্শন বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।

[hupso]