» শাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের মারামারি

প্রকাশিত: ১৮. সেপ্টেম্বর. ২০২৩ | সোমবার

গায়ে ধাক্কা লাগার জের ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটে। এ ঘটনায় মো. শিপন হাসান নামের এক শিক্ষার্থী আহত হয়ে পড়লে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলে শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক মো. শিপন হাসান ও ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ’র মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

আহত মো. শিপন হাসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমানের অনুসারী। অপরদিকে নাজমুল হুদা শুভ শাখা ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করছেন। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দুপুরে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হয়ে যাওয়ার পথে খলিলুর রহমানের সমর্থক মো. শিপন হাসানের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে শিপন ও নাজমুলের মধ্যে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। একসময় তারা হাতাহাতি ও মারিমারিতে জড়ায়।

এসময় হলে উত্তপ্ত পরিবেশ তৈরি হয় এবং উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হল প্রভোস্ট এবং প্রক্টররা এসে পরিস্থিতি শান্ত করেন।

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হচ্ছিলাম। তখন খলিলুর ভাইয়ের সমর্থক শিপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তখন সে আমাকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়।

এরপর প্রভোস্ট বডি ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা এসেছিলেন হলে। তারা বিষয়টি আগামীকাল আলোচনা করে সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে মো. শিপন হাসান বলেন, হলে উনার সাথে ধাক্কা লাগার পর কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উনিই আমাকে প্রথম চড় মারেন এরপর উনার সাথে আমার হাতাহাতি হয়। এর একপর্যায়ে উনি আমাকে কিল-ঘুষি দিয়ে হলের ক্যান্টিনের চেয়ার দিয়েও আঘাত করেন। এসময় আমার মাথা, পীঠ এবং হাতে ব্যথা পাই। আমি এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।

শাহপরাণ হলের ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট কৌশিক সাহা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমরা ঘটনার সবটুকুই অবগত হয়েছি এবং আমরা এসে পরিবেশ নিয়ন্ত্রণ করেছি। এখন পরিবেশ শান্ত আছে। আমরা এ ঘটনার প্রেক্ষিতে আগামীকাল জরুরি মিটিং ডেকেছি। আমরা তদন্ত করে বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিবো।

সহকারী প্রক্টর মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, আমরা ঘটনার পর পরই সেখানে যাই। আমরা আমাদের উপস্থিতিতে দুই পক্ষকেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে এসেছি। এখন পরিবেশ শান্ত রয়েছে। হল কর্তৃপক্ষ সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবে। এরপর যদি হল প্রশাসন মনে করে তখন প্রক্টরিয়াল বডি সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিবে।

[hupso]