- শফিক চৌধুরীকে ইসির তলব
- ধনসম্পদ বেড়েছে মোমেন – ইমরানের, কমেছে নাহিদের
- সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনে ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল, বৈধ ৩১
- নির্বাচন করার মনোবল নেই রতনের যেকোনো সময় ছাড়তে পারেন মাঠ
- অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনে সকলের সহযোগীতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সিলেটে ১৯ আসনে ১৫৫ জন প্রার্থী
- সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন সফিক চৌধুরী
- কুলাউড়া- কমলগঞ্জে লড়াইয়ের আভাস
- প্রতিটি জেলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ কয়েদি
- সিলেট-১ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
» বাংলাদেশ ভারত সম্পর্ক আরো জোড়দার করতে হবে : স্পীকার
প্রকাশিত: ০৫. অক্টোবর. ২০২৩ | বৃহস্পতিবার

ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরো জোরদার করার তাগিদ দিয়েছেন স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার সিলেটে আয়োজিত ‘১১ তম বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ সংলাপ’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ তাগিদ দেন।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় গ্র্যান্ড সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টে এই সংলাপের উদ্বোধন করেন উ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি।
সংলাপ’র উদ্বোধক ও অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন বলেন- দুই প্রতিবেশী দেশের ভাগ্য ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং উভয় দেশের স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি একে অপরের সাথে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত।
তিনি জি২০ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ভারতকে ধন্যবাদ জানান এবং পি২০ পার্লামেন্টারি স্পিকার্স সামিট আয়োজনের জন্য ভারতের প্রশংসা করেন।
তিনি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দুই দেশের সংসদের আরও সম্পৃক্ততা, নারী আইন প্রণেতাদের সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততা এবং আইসিটি সেক্টরে সহযোগিতা নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন- বঙ্গবন্ধুর অসম্পূর্ণ স্বপ্ন পূরণ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ এখন ৩৫ লার্জেস্ট ইকোনমির দেশ। বাংলাদেশের জিডিপি ৯০ বিলিয়ন থেকে ৪৬০ বিলিয়ন হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি পর্যটক যাচ্ছে ভারতে। যা ভারতের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে।
তিনি বলেন, দ্রুত উন্নয়নশীল বাংলাদেশ উভয় দেশকে তার অর্থনৈতিক সুবিধা আরও গভীর করার সুযোগ দেয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেন তার বিবৃতিতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, উন্নত সংযোগ, জ্বালানি খাতে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা, পানি খাতে সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার উপায় অন্বেষণের মতো পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে ফোকাস করার ওপর জোর দেন। বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনতে এই দুই প্রতিবেশীর অংশীদারিত্ব গুরুত্বপূর্ণ।
শুক্রবার সংলাপে বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যে সংযোগ, প্রযুক্তি সহযোগিতা এবং উদ্ভাবন, টেকসই এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধির জন্য বিনিয়োগের জন্য সংযোগের বিষয়ে বিষয়ভিত্তিক সেশন থাকবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ২য় দিনের অধিবেশন উদ্বোধন করবেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বন্ধুত্বপুর্ণ সম্পর্ক সুদূঢ় করতে এবং উভয় দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ব্যবসা উন্নয়নের স্বার্থে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও এই সংলাপ শুরু হয়েছে।
সংলাপে বাংলাদেশের পক্ষে ৬ জন মন্ত্রী, ২০ জন সংসদ সদস্যসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ অংশ নিয়েছেন। সংলাপ উপলক্ষে ভারত থেকে ১৪০ জনের প্রতিনিধি দল সিলেটে এসেছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ভারতের সাবেক মন্ত্রী শ্রী এম জে আকবর ও ভারতের হাই কমিশনার মি. প্রণয় ভার্মা।
আগামী ৭ অক্টোবর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরান আহমদ এমপি। এতে সভাপতিত্ব করবেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এমপি।
[hupso]