- সিলেটে ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
- অবিস্মরণীয় উদ্যোগ: বিমান ভাড়া কমেছে ৭৫ ভাগ
- এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- সিলেটের বিশ্বনাথে ৬’বছরের শিশু ধর্ষণকারী আটক
- কিসের ইফতার কিসের কি একে অপরকে ঘায়েল করতে উন্মাদ দু’গ্রামবাসী
- চিকিৎসা সেবা ব্যাহত: কমপ্লিট শাট ডাউনে ইন্টার্নরা
- ওরা ধর্ষক
- শাহ আরেফিন টিলায় কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ
- ঢাকার বিকল্প রাজধানী হতে পারে যে শহর? এআই বলছে সিলেট
- রড- সিমেন্টের দাম কমলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন চড়া দামেই
» মৌলভীবাজার জুড়িতে পুলিশকে মৃত ব্যক্তির হামলা
প্রকাশিত: ০৮. অক্টোবর. ২০২৩ | রবিবার

জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামি
জামায়াতের মিছিলে অংশ নেন ‘মৃত ব্যক্তি’, ঢিল ছুড়েন পুলিশকে লক্ষ্য করে!
জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামি
২০১৭ সালের ৪ আগস্ট ক্যান্সারে মারা যান মৌলভীবাজারের জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের রুমুজ আলীর ছেলে লোকমান হোসেন।
তবে পুলিশের দাবি, গত ৫ অক্টোবর জামায়াতের একটি মিছিলে অংশ নিয়ে নাশকতা চালিয়েছেন লোকমান।
পুলিশ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় করা একটি নাশকতা মামলায় আসামি করা হয়েছে লোকমানকে, যিনি ছয় বছর আগেই মারা গেছেন।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী। মিছিলের পরদিন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ২৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন জুড়ী থানার এসআই খসরুল আলম বাদল। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নাশকতার এ মামলায় আসামিদের মধ্যে মৃত ব্যক্তি ছাড়াও কয়েকজন প্রবাসীর নামও রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা জনসাধারণের যান চলাচল বন্ধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধা অমান্য করে তারা মিছিল শুরু করেন। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে সরকারি কাজে বাধা দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত লোকমান হোসেনকে।
এ মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে জায়েদ আহমদকে। তিনি সাত বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। জায়েদ আহমদ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লাহর ছেলে।
উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের রজব উদ্দিনের ছেলে বুরহান উদ্দিন দুই বছর থেকে আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। মামলায় বুরহানকে ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ফুলতলা বাজারের ইব্রাহিম আলীর ছেলে নাঈম উদ্দিন আট বছর আগে কাতার যান। সেখান থেকে তিনি এখন পর্তুগালে অবস্থান করছেন। তাকেও পুলিশের করা ওই মামলায় ২৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার ১১ নম্বর আসামি মৃত লোকমান হোসেনের বড় ভাই মাহতাব আহমদ বলেন, ‘আমার ভাই লোকমান ৬ বছর দুই মাস আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমার ভাই কবর থেকে উঠে কীভাবে মিছিলে অংশ নিল?
তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নামে যদি মামলা হয়, তাহলে আমরা যারা জীবিত আছি- তাদের উপর কি ধরনের অত্যাচার চলে একবার আপনারা ভেবে দেখুন।’
[hupso]