» হযরত শাহজালাল রঃ মাজার উন্নয়নে ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ

প্রকাশিত: ১৭. অক্টোবর. ২০২৩ | মঙ্গলবার

সিলেটের যুগ শ্রেষ্ট সুফি সাধক ওলিকুল শিরোমনি হজরত শাহজালাল মুজরদে ইয়ামনি (র.) উন্নত সংস্কারে আধুনিক যুগোপযোগী নান্দনিক সৌন্দর্য বর্ধনে দরগাহ এলাকার উন্নয়নে প্রায় ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে একটি প্রকল্প প্রস্তাব প্রেরণের জবাবে সম্প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগ তা অনুমোদনের পর অর্থ বরাদ্দ দেয়। অর্থ ছাড়ের পর কাজ শুরু হবে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

প্রকল্পের আওতায় জমি অধিগ্রহণ, বহুতল পার্কিং প্লেস নির্মাণ, কবরস্থান সংস্কার, নারী ও পুরুষ দর্শনার্থীর জন্য বিশ্রামাগার, ৫০টি বাথরুম নির্মাণ এবং দরগাহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য চারতলা আবাসিক হল নির্মাণ করা হবে।

সিটি করপোরেশনের কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, মাজার এলাকাকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় অর্থ ছাড় দিলেই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে। দরপত্র আহ্বান প্রক্রিয়াধীন। প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মাজার এলাকা নান্দনিক রূপ পাবে।

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ বরাদ্দে শাহজালালের মাজার এলাকায় ১০ কোটি টাকার উন্নয়ন করা হয়। এর আগে সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী সাইফুর রহমান সর্বশেষ মাজারের দৃষ্টিনন্দন ফটক, মেহমানখানা নির্মাণসহ কিছু উন্নয়ন কাজ করেন।

মাজারের দায়িত্বশীল একজন জানান, কবরস্থান, মাজার, দরগা মাদ্রাসা, এবাদতখানা, সীমানাপ্রচীরসহ নতুন যেসব কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হলে দর্শনার্থীসহ সিলেটের মানুষ উপকৃত হবে।  

৭০০ বছরেরও বেশি সময় আগে ইয়েমেন থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারে বিভিন্ন দেশ ঘুরে সিলেট পৌঁছেন হজরত শাহজালাল। সিলেটে পৌঁছার সময় তাঁর দলে ৩৬০ জন সফরসঙ্গী ছিলেন। সিলেট থেকে তিনি দ্বীনের কাজ করেন এবং তাঁর সফরসঙ্গীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়েন। মহান এ দরবেশের মৃত্যুর পর দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ মাজার জিয়ারত করতে আসেন। যে স্থানে তাঁকে শায়িত করা হয়, সেই স্থানটি তীর্থস্থান হয়ে ওঠে।  

প্রায় প্রতিটি রাজনৈতিক দলের প্রধানরা মাজার জিয়ারত করেই নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। মাজারের গজার মাছ, জালালি কবুতর, বড় ডেগ, শাহজালালের ব্যবহৃত তলোয়ার দর্শনার্থীদের কাছে বিশেষ আকর্ষণের।  

[hupso]