- যুক্তরাজ্যে দল থেকে বহিষ্কার হলেন সিলেটের আপসানা
- রোদ নয় যেনো আগুন!
- কোটা আন্দোলনে সরকারি দমন-পীড়নের নিন্দা, মানবাধিকার লঙ্ঘনের স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জাতিসংঘের
- সাংবাদিক তুরাব নি হ তে র ঘটনায় থানায় অভিযোগ
- সিলেটে কোটা আন্দোলন: আসামী করা হয়েছে ১৬ হাজার
- সিলেটে চলছে ধরপাকড় তল্লাশি
- পুলিশ ছাত্রলীগ ও সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ
- সিলেটে পুলিশ অতিউৎসাহী শাবিতে সংঘর্ষে ৫০ আহত
- আজ কমপ্লিট শার্টডাউন জরুরী সেবা ছাড়া সব কিছু বন্ধ থাকবে
- শাবিপ্রবির শাহপরাণ হলে বিপুল পরিমান মাদক ও অস্ত্র উদ্ধার করলো আন্দোলনকারীরা
» কোটি কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যাওয়া প্রতারক স্বামী- স্ত্রী সিলেটে আটক
প্রকাশিত: ১৮. অক্টোবর. ২০২৩ | বুধবার
![](https://sylhetsangbad24.com/wp-content/uploads/2023/10/359570.jpeg)
মৌলভীবাজারের বড়লেখাসহ সিলেটের বিভিন্ন উপজেলার গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে প্রায় ৬ বছর ধরে উধাও ভেলেজ ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম (৫০) ও তার স্ত্রী আছমা বেগম (৪৫)-কে গ্রেপ্তার করেছে বড়লেখা থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) ভোরে সিলেটের শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠিয়েছে বড়লেখা থানা পুলিশ। আব্দুল হাকিম বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পশ্চিম হাতলিয়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, আব্দুল হাকিম বড়লেখা থানার চেক জালিয়াতিসহ ১০টি মামলার সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৩টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামী। তার স্ত্রী আছমা বেগমের বিরুদ্ধে দুটি মামলার সাজা পরোয়ানা রয়েছে। আদালতের রায়ের পর থেকে তারা পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান পিপিএম বার এর দিক নির্দেশনায় বড়লেখা থানার এএসআই মো.আবু তালেবের নেতৃত্বে একদল পুলিশ বুধবার ভোরে সিলেট শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রী আছমা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন।
জানা গেছে, ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্ক (ভিডিএন) নামক বেসরকারি সংস্থা ২০০৩ সাল থেকে ২০১৭ সালের প্রথম দিক পর্যন্ত বিভিন্ন প্যাকেজের মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে হাতিয়ে নেয় ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। সেই আমানতের মেয়াদপূর্তিতে লভ্যাংশসহ গ্রাহকদের ৫০ কোটি টাকারও বেশি পরিশোধের কথা। কিন্তু গ্রাহকদের লাভ দেওয়াতো দুরের কথা, ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময় মুলধনসহ উধাও হয়ে যান প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম, এমডি আয়াজ আলীসহ শীর্ষ কর্মকর্তারা। বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হলে ভুক্তভোগিরা বিভিন্ন আদালতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
বড়লেখা থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, ১২টি সাজা পরোয়ানাসহ মোট ১৫টি মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামী আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রীকে সিলেট শাহপরান থানার মেজরটিলা নুরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন আত্মগোপন করেছিল। বুধবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
[hupso]