» মৌলভীবাজার- হবিগঞ্জে গড়ে উঠেছে জন্ম নিবন্ধন দালাল চক্র

প্রকাশিত: ২৩. অক্টোবর. ২০২৩ | সোমবার

ক্ষত যেখানে ক্যান্সার সেখানেই জন্ম নেয় মৌলভীবাজার- হবিগঞ্জে রোহিঙ্গারা খোঁজ পেয়েছে তেমনি অসংখ্য ক্ষতের অহরহ ক্যাম্প থেকে পালিয়ে আসছে নাগরিত্ব সনদ নিতে মৌলভীবাজার – হবিগঞ্জে। এমনিতে অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে মেম্বার চেয়ারম্যান আর দূরন্ত দালালদের বিরুদ্ধে । তথ্য উঠে এসেছে মৌলভীবাজার- হবিগঞ্জের গড়ে উঠেছে শক্তিশালী দালাল চক্রের যাদের আশ্রয়ে আর আশ্বাসে ক্যাম্প ছেড়ে চলে আসছে রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ।

মৌলভীবাজারের একটি ইউনিয়নে প্রায় ১৪৩ সনদ সনাক্ত করা যাচ্ছেনা এরা কোথাকার কে। কক্সবাজার ও সিলেটের এই দুই জেলায় রোহিঙ্গাদের সনদ প্রাপ্তির ঠিকাদার বেড়েছে বহুগুণ। সম্প্রতি
হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে ভুয়া পরিচয়ে পাসপোর্ট করতে এসে রুবিনা আক্তার রোকেয়া (১৮) নামের এক রোহিঙ্গা তরুণী দালাল আমানুর রশীদ মাহিসহ আটক হয়েছেন। রবিবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে এ ঘটনা ঘটে।
 
রুবিনা আক্তার ওরফে রোকেয়া কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। দালাল মাহি শহরের রাজনগর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে ও পুরাতন পৌরসভা রোডের ট্যাভেলস এজেন্সির মালিক।
 

হবিগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মো. বজলুর রশিদ বলেন, রোকেয়া পাসপোর্ট জমা দিতে সকাল ১০টায় আমাদের কাছে আসে। এসময় সন্দেহ হলে তাকে ফিরিয়ে দেই। পরবর্তীতে আমানুর রশীদ মাহি জোরপূর্বক জমা দিতে গেলে সন্দেহ আরও বাড়ে। পরে বিষয়টি যাচাই-বাছাই করে জানতে পারি- ওই মেয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। বিষয়টি তাৎক্ষনিক জেলা প্রশাসকের জানালে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর থানা পুলিশ এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মাহি সত্যতা স্বীকার করে।

জানা যায়, রোহিঙ্গা যুবতী রোকেয়া বেগম তার আবেদনে নবীগঞ্জ উপজেলার ৪নং দীঘলবাগ ইউনিয়নের বাসিন্দা মর্মে একটি জন্মনিবন্ধন সনদ দাখিল করে। যাতে দেখা যায়, ৪-৬-২০২১ ইং তারিখে চেয়ারম্যান সালিক মিয়ার স্বাক্ষর করা। কিন্তু এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালিক মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ২০২২ সানের ফেব্রুয়ারিতে আমি যোগদান করি। এটা আমার স্বাক্ষরিত কোনো জন্মনিবন্ধন নয়।
 
এছাড়া আবেদনের সাথে সংযুক্ত পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রে নবীগঞ্জ উপজেলার দেওতৈল এ কে হীরাগঞ্জের নজিম উল্লার ছেলে মো. নাজমুল হোসেন চৌধুরী ও শেখ উম্মে সেলিনা শিবু নামের এক নারীর আইডি কার্ডের ফটোকপি সংযুক্ত করা হয়। এগুলো ভুয়া বলে জানা গেছে।
 
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় পাসপোর্ট অফিসের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। আজ সোমবার মাহিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে। এছাড়া আটক রোহিঙ্গা নারীকে তার ক্যাম্পে পাঠানো হবে।

[hupso]