- সিলেটে ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
- অবিস্মরণীয় উদ্যোগ: বিমান ভাড়া কমেছে ৭৫ ভাগ
- এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- সিলেটের বিশ্বনাথে ৬’বছরের শিশু ধর্ষণকারী আটক
- কিসের ইফতার কিসের কি একে অপরকে ঘায়েল করতে উন্মাদ দু’গ্রামবাসী
- চিকিৎসা সেবা ব্যাহত: কমপ্লিট শাট ডাউনে ইন্টার্নরা
- ওরা ধর্ষক
- শাহ আরেফিন টিলায় কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ
- ঢাকার বিকল্প রাজধানী হতে পারে যে শহর? এআই বলছে সিলেট
- রড- সিমেন্টের দাম কমলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন চড়া দামেই
» ওসমানীনগরে ২২টি দোকানে অ গ্নি কা ন্ড, কোটি টাকার ক্ষতি
প্রকাশিত: ২৬. অক্টোবর. ২০২৩ | বৃহস্পতিবার

সিলেটের ওসমানীনগরে ২২টি দোকানসহ ৬টি ছাগল আগুনে পুড়ে ছাই হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে উপজেলার বানিজ্যক প্রানকেন্দ্র গোয়লাবাজারের ছাগল হাটে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
জানা যায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে গোয়ালাবাজর ছাগল হাটের হকার মার্কেটে একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে ওই দোকান থেকে মুহূর্তে আগুন টিন ও বাঁশের তৈরি মার্কেটের চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এসময় আশপাশের ২২টি দোকানের মালামাল, নগদ টাকাসহ ৬টি ছাগল পুড়ে মারা গিয়েছে।
খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। অগ্নিকান্ডে প্রায় কোটি টাকার অধিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ী রহিম বক্স বলেন, আগুনে পুড়ে যাওয়া ২২ টি দোকানের মধ্যে তার মালিকানাধীন একটি কাপড়ের দোকান রয়েছে। এখানে ১৫ বছর ধরে ব্যবসা করছেন তিনি। প্রথমে কিছুই ছিল পলিথিন টানিয়ে ব্যবসা করলেও পরে বাশঁ ও টিন দিয়ে গড়ে তুলেন কাপড়ের দোকান।
তার দোকানে নগদ ২৫ হাজার টাকাসহ প্রায় ৩ লক্ষ টাকার মালামাল ছিল বলে জানান তিনি। আগুন ভোরে লাগার কারণে দোকানের কোনো মালামাল বের করতে পারেননি।
মার্কেটের সভাপতি আব্দুল কাদির জানান, আগুনে পুড়া ২২টি দোকান, নগদ টাকাসহ ৬টি ছাগল একেবারে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে এর ক্ষয়ক্ষতি প্রায় কোটি টাকার মতো হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাজপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা সুকুমার সিংহ বলেন, ফায়ার সার্ভিস যাওয়ার অনেক আগে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় অধিকাংশ দোকান। ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেড় ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বিদ্যুতের শর্ট-সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গোয়ালাবাজর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পীর মজনু মিয়া বলেন, আমি শুনেছি একটি চায়ের দোকান থেকে আগুনের সৃষ্টি হয়েছে। আগুনে ব্যবসায়ীরা একে বারে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
সরকারিভাবে তাদের সহযোগিতা করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ওসমানীনগ-বিশ্বানাথ সার্কেল আশরাফুজ্জামান, উপজেলা চেয়ারম্যান শামীম আহমদ ভিপি, থানার অফিসার ইনচার্জ মাছুদুল আমিন, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আনা মিয়া, জাহানারা বেগম, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল হামিদ, গোয়ালাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান পীর মজনু মিয়া প্রমুখ।
এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্থ ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানিয়ে সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
[hupso]