» সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি দূরপাল্লার বাস, আসেনি সিলেটেও

প্রকাশিত: ৩১. অক্টোবর. ২০২৩ | মঙ্গলবার

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হওয়া বিএনপি ও জামায়াতের তিন দিনের অবরোধে সিলেটের রাস্তায় গণপরিবহন নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি নেই বললেই চলে। রাস্তায় অনেক সময় ধরে দাঁড়িয়ে থেকেও মিলছে না গন্তব্যে পৌঁছানোর বাহন। তবে নগরীতে হালকা সিএনজি অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।

 সিলেট থেকে দূরপাল্লার কোনো বাসও ছেড়ে যায়নি। তবে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, নিত্যপণ্যবাহী ও ব্যক্তিগত গাড়ি সামান্য পরিমাণে চলছে।
ঘণ্টার পর ঘন্ট অপেক্ষা করতে দেখা গেছে অনেক যাত্রীদের। বাস স্ট্যান্ড এলাকায় অনেককেই দাঁড়িয়ে থাকতে দেখো গেছে। 
 সুনামগঞ্জ রোডে বিচ্ছিন্নভাবে এক দুইটা লোকাল বাস চললেও বিরতিহীন কোনো বাস চলেনি।

রাস্তায় বাস না থাকায় মালামাল পরিবহনের ট্রাক, মিনি পিকআপেও অনেক অফিসগামী মানুষকে উঠে বসতে দেখা গেছে। বাসের তুলনায় বেশি ভাড়া নিচ্ছে এসব পরিবহনের ড্রাইভার ও হেলপাররা। রিকশা ভাড়া স্বাভাবিক সময়ের ২ থেকে ৩ গুণ চাচ্ছেন রিকশাওয়ালারা। সিএনজি অটোরিকশা ১০০ টাকার ভাড়া ২০০ থেকে ২৫০ টাকা চেয়েছেন ড্রাইভাররা। 

অবরোধ চলাকালে যানজটবিহীন রাস্তা পাওয়া গেছে। তবে যানজটবিহীন রাস্তা থাকায় সিএনজি অটোরিকসা ও বন্দর জিন্দাবাজারে টমটম চলতে দেখা গেছে। টমটম চালক হৃদয় জানান ট্রাফিক পুলিশ তাকে বলছে আজ ফ্রি চালিয়ে যাও কোন চিন্তা নাই কেউ ধরবেনা। সকাল থেকে হৃদয় সুবিদবাজার হতে বন্দর বাজার যাত্রী নিয়ে আসছে যাচ্ছে।
 
এদিকে, সিলেটের বিভিন্ন স্থানসহ দক্ষিণ সুরমার তেতলি এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ড্রাম ও গাছ ফেলে ‘পিকেটিং’ করেছেন অবরোধকারীরা। মঙ্গলবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে ঘটনাটি ঘটে। এর আগে তারা খাদ্যপণ্যবাহী একটি কাভার্ড ভ্যান ভাঙচুর করেন বলে জানা যায়। 

[hupso]