- সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
- কোয়ারী বন্ধের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের দিকে পাথর সংশ্লিষ্টরা
- পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ গনমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও প্রবাসীর সম্পদ লুটপাট
- পঞ্চগ্রামে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং-২০২৫ সম্পন্ন
- আত্মজা খুনি
- মেজরটিলায় মেয়ে ও পিতার গলা কাটা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর
- জকিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হত্যা না আত্মহত্যা?
- প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিবে NTRCA, গণবিজ্ঞপ্তি আজ, আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না ৩৫ ঊর্ধ্বরা।
- টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট ব্যবসায় ঠকছেন ভ্রমণকারীরা: প্রশাসনের সতর্কতা
- পঞ্চগ্রাম ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন
» ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ট্রিপল সেঞ্চুরির দিকে আগাচ্ছে পেঁয়াজ
প্রকাশিত: ০৯. ডিসেম্বর. ২০২৩ | শনিবার

সিলেটে রাতারাতি বেড়ে গেছেপেঁয়াজের দাম কেজিতে ২০০ থেকে ২৪০ টাকা ছাড়িয়েছে। গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পেঁয়াজের দাম পাইকারি দরে ১০০টাকা কেজি বিক্রি হলেও শনিবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮০ থেকে ২০০। এ ছাড়া খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম ২১০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পেঁয়াজ।
ক্রেতারা অভিযোগ করছেন বাজার মনিটরিংয়ে অভাবে পেঁয়াজের দামে এমন অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দোকানিরা বলছেন, গতকাল ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেওয়া পরেই সিলেটের পেঁয়াজের বাজারে এর প্রভাব পরে দ্রুতই।
জানা যায়, ভারত সরকার শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দেওয়া এক আদেশে, ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। মূলত দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে এবং দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার লক্ষ্যে ভারত সরকার আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ করার এই পদক্ষেপ নিয়েছে। পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য ৮০০ ডলারে বেঁধে দিয়ে গত ২৮ অক্টোবর আদেশ জারি করেছিল ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়, যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে সে সময় জানানো হয়েছিল। সেই মেয়াদ তিন মাস বাড়ানোয় আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য ৮০০ ডলারে বহাল থাকছে বলে জানায় ভারত সরকার। ওই সিদ্ধান্তের পর থেকেই সিলেটে বাজারে এর প্রভাব পড়ে।
সিলেটের ক্রেতারা বলছেন, খুচরা দোকানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা কেজি দরে; এতে কেজিতে ৫০ টাকা বাড়ানো হয় । এমন অবস্থায় প্রধান পাইকারি আড়ত নগরীর কালীঘাটে পেঁয়াজ বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছিল। তবে শনিবার সকাল থেকে কালীঘাট আড়তে পেঁয়াজের দাম ১৮০ থেকে ২০০টাকা পাইকারি দরে বিক্রি হয়। নগরে সকাল থেকে খুচরা দোকানগুলোতে পেঁয়াজের দামও অস্বাভাবকি অবস্থায় চলে গেছে। খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম এখন ২১০ থেকে ২৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় যাদের মজুত ছিল সেই বিক্রেতারা ১ থেকে ২ কেজির বেশি পেঁয়াজ বিক্রি করছেন না।
এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। পেঁয়াজের এই অস্বাভাবিক দাম শুনে তাদের কেউ কেউ হচ্ছেন হতভম্ব। ক্রেতাদের মনে প্রশ্ন জাগছে, এক রাতেই কি কালীঘাটে পেঁয়াজ শেষ হয়ে গেলো! ব্যবসায়ীরা ভারতের সিদ্ধান্তকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষকে বিপাকে ফেলছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।