» দশ বছর পর নৌকার মনোনয়ন পেয়েছি, বিজয়ী হলে উন্নয়ন হবে

প্রকাশিত: ২৪. ডিসেম্বর. ২০২৩ | রবিবার

সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিলেট-২ (বিশ্বনাথ-ওসমানীনগর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় নৌকা মার্কায় আবারো ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সিলেট নগরীর নয়াসড়কে একটি পার্টি সেন্টারে সিলেটে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এ আহবান জানান। 

মতবিনিময়ের শুরুতে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ জাতীয় চার নেতাকে। এছাড়া প্রয়াত স্থানীয় ও জাতীয় নেতাদের স্মরণ করে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধু কন্যা , রেহানা, শেখ হেলাল, ওবায়দুল কাদেরের প্রতি বিশেষ করে নেত্রীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন,  ২০০৮ সালে মনোনয়ন দেওয়ার সংসদ সদস্য হই। ১০ বছর পর আবারো নৌকার মনোনয়ন পেয়েছি, এ কারণে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি দলীয় প্রধানের প্রতি। তিনি বলেন,  নৌকার প্রার্থী না থাকায় বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর কাঙ্খিত উন্নয়ন বঞ্চিত থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এবার নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষও নৌকার প্রার্থী পেয়ে খুশি।

তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১০ বছর কাঙ্খিত উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগরবাসী। সিলেট-২ আসনে নৌকার পালে বিজয়ের হাওয়া লেগেছে। তাই ওই এলাকার মা-বোন’সহ সর্বস্তরের ভোটাররা ৭ জানুয়ারীর অপেক্ষা করছেন ভোট দিয়ে স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক ‘নৌকা’র বিজয় সুনিশ্চিত করার। আওয়ামী লীগের রাজনীতি উন্নয়নের, জ্বালাও-পুড়াও করে জীবন্ত মানুষকে হত্যা করার নয়। এজন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন বিশ্ববাসীর কাছে উন্নয়নের রোল মডেল একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। নৌকার বিজয়ে তাই অব্যাহত থাকবে উন্নয়ন প্রক্রিয়া। নির্বাচিত হলে সিলেট-২ আসনে গত ১০ বছরের উন্নয়নের ঘাটতি কাটিয়ে ওঠতে পারবো। অতীতে এমপির বরাদ্দের চেয়ে বেশি পেয়েছি, নির্বাচিত হলে আবারো তা পাবো।

তিনি নানা পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বলেন, নির্বাচিত হলে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ ২ উপজেলায় হবে। রাস্তাঘাট ব্রিজের চাহিদা মোতাবেক অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করবো। অতীতে সংসদে যখনই সুযোগ পেয়েছি, সিলেটের দাবি দাওয়া উত্থাপন করেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় গেলে অন্যরা ভাগবাটোয়ারা করে খায়।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রবাসীদের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। আমি সংসদে ভোটাধিকার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তুলেছিলাম। এ কারণে প্রবাসীরা সুবিধা পাচ্ছে। 

মতবিনিময় সভায় সিসিক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন- সিলেট ২ গুরুত্বপূর্ণ আসন। ২০০৮ এরপর আবারো এ আসনে নৌকার প্রার্থী নির্বাচন করছেন। দুই উপজেলায় ১৬ ইউনিয়নের গত ১০ বছর রুটিন উন্নয়ন হয়েছে। শফিক চৌধুরী নির্বাচিত হলে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হবে। 

মেয়র আরো বলেন, সিলেটের ৬টি আসন আমরা উপহার দিতে চাই নেত্রীকে। কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, আমরা মোকাবেলা করতে পারি। ৭ জানুয়ারি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আমরা আশা করছি। প্রধানমন্ত্রী এ ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন। গ্রাম পর্যায়ে আমরা কাজ করছি, যাতে নৌকা বিজয়ী হয়। 

অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাসির উদ্দীন খান বলেন, শফিক চৌধুরী ২০০৮ সালে বিজয়ী হয়ে এলাকায় অনেক কাজ করেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালে জোটের কারণে নির্বাচন করেন নি। ৭ জানুয়ারি জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। দল ঐক্যবদ্ধ এবং সাধারণ মানুষের উৎসাহ উদ্দীপনা রয়েছে। সাধারণ মানুষও শফিকুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে নেমেছেন উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে। তিনি বলেন, একটি গোষ্ঠী নির্বাচনের বিরোধিতা করছে। সাধারণ মানুষ সেটা মানছে না। ৭ জানুয়ারি সাধারণ মানুষ ভোট দিতে যাবেন। 

মত বিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ সহসভাপতি শাহ ফরিদ আহমেদ,  যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হরমুজ আলী, সাবেক ছাত্রনেতা শাহ ফারুক আহমদ, বিশ্বনাথ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদসহ নেতৃবৃন্দ।

[hupso]