» ইলিয়াস আলীর নাম নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করবেন না : ইলিয়াস পত্নী লুনা

প্রকাশিত: ০৩. জানুয়ারি. ২০২৪ | বুধবার

সরকারের পাতানো নির্বাচনে এমপি হওয়ার জন্য ভোটের মাঠে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে নিখোঁজ থাকা সাবেক এমপি ও বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ‘এম. ইলিয়াস আলী’র নাম ব্যবহার করে জনগণের সাথে প্রতারণা না করার আহবান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্ঠা মন্ডলীর সদস্য ও ইলিয়সপত্নী তাহসিনা রুশদীর লুনা।
 

সম্প্রতি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলায় কর্মরত স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তিনি আরো বলেন, নির্বাচনী বৈতরনী পাড়ি দেওয়ার জন্য আমার সাথে কথা বলেছেন বলে ভোটারদের মধ্যে আবেগীয় কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
 

এসকল বিষয়ে সিলেট-২ আসনের তথা সর্বস্তরের জনসাধারণকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে লুনা বলেন, বিএনপি যেখানে বর্তমান সরকারের অধীনে আগামী ৭ই জানুয়ারীর পাতানো নির্বাচন (দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) বর্জন করেছে, সেখানে আমি কিভাবে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া ব্যক্তিদের সাথে কথা বলব কিংবা পাতানো ওই নির্বাচনে জনসাধারণকে ভোট দেওয়া কথা বলব। দলের সাথে আমি (লুনা)’সহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীও সরকারের ওই পাতানো নির্বাচন বর্জন করেছেন। তাই বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কেউ ভোট সেন্টারের যাবেন না, ভোটও দিবেন না।
 

বিজ্ঞপ্তিতে ইলিয়াসপপত্নী লুনা বলেন, সরকার আগামী ৭ই জানুয়ারী সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলের অনুপস্থিতে একটি পাতানো নির্বাচন মঞ্চস্থ করার পরিকল্পনা করছে। যেখানে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ওই নির্বাচনে এককভাবে অংশ নিচ্ছে, যাদেরকে অন্যান্য দল বলা হচ্ছে তারাও আওয়ামী লীগ মনোনীত বা সমর্থিত। সেখানে এটা নিশ্চিত যে আওয়ামী লীগই ক্ষমতায় আসবে, এমনকি কে বিরোধী দল হবে সেটাও তারা ঠিক করছে। মোটকথা একটি দলের প্রধানই দেশের ৩০০ আসনে ‘কে কে’ এমপি হবেন সেটা ঠিক করে কোন নির্বাচন হতে পারে না। এটি মানুষকে বোকা বানানো ছাড়া আর কিছুই না। এ অবস্থায় বিএনপি ও অন্যান্য বৃহৎ দল এ নির্বাচন প্রত্যাখান করেছে। বর্তমান সরকার ১৫ বছর যাবত দেশের সম্পদ কিভাবে লুটপাট করেছে তা সরকারি দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী হলফনামায় দেখেছেন।
 

তাহসিনা রুশদীর লুনা বলেন, এ পরিস্থিতিতে দেশের দেশপ্রেমিক জনগণকে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছেন দেশ ও জাতির বৃহৎ স্বার্থে তামাশার ওই নির্বাচনে নিজেদের পবিত্র আমানত ‘ভোট’ প্রদান করা থেকে বিরত থাকার। ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকাটাই হবে সরকারে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। কারণ জুলুমের সময় আপনি যদি চুপ থাকেন সেটাও কিন্তু জালিমের পক্ষ নেয়ার সামিল। তাই ৭ই জানুয়ারী বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীসহ সিলেট-২ আসনের তর্থা সর্বস্তরের দেশবাসী ভোট প্রদান থেকে বিরত থাকার আহবান করছি।

 

[hupso]