- জুতা চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে
- জকিগঞ্জ এক হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সিলেটে ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
- অবিস্মরণীয় উদ্যোগ: বিমান ভাড়া কমেছে ৭৫ ভাগ
- এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- সিলেটের বিশ্বনাথে ৬’বছরের শিশু ধর্ষণকারী আটক
- কিসের ইফতার কিসের কি একে অপরকে ঘায়েল করতে উন্মাদ দু’গ্রামবাসী
- চিকিৎসা সেবা ব্যাহত: কমপ্লিট শাট ডাউনে ইন্টার্নরা
- ওরা ধর্ষক
- শাহ আরেফিন টিলায় কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ
» সিলেটের গলগাদ্দা শীম বিদেশে প্রচুর চাহিদা
প্রকাশিত: ১৫. জানুয়ারি. ২০২৪ | সোমবার

মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপসহ বিশ্বের ১৩টি দেশে রফতানি হচ্ছে সিলেটের গোয়ালগাদ্দা শিম।
কৃষি অফিসের দাবি, গোয়ালগাদ্দা শিমের বীজ সিলেটের তিনটি ইউনিয়ন ছাড়া অন্য কোনো এলাকায় রোপণ করলে ফলন তেমন ভালো হয় না। অন্য শিমের তুলনায় গোয়ালগাদ্দা আকারে বড় এবং সুস্বাদু। এজন্য এই সবজির চাহিদাও রয়েছে।
নভেম্বর-মার্চ পর্যন্ত এই শিম রফতানি হয়। চলতি মৌসুমে প্রতিদিন গড়ে পাঁচ হাজার কেজি শিম রফতানি হচ্ছে বলে জানান জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্সের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেট আঞ্চলিক কার্যালয় সূত্র জানায়, সিলেট জেলার সব উপজেলায় কম-বেশি শিম উৎপাদন হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি উৎপাদন হয় গোলাপগঞ্জ উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন লক্ষ্মণাবন্দ, লক্ষ্মীপাশা ও ফুলবাড়ী ইউনিয়নে। এসব এলাকার মাটি ও পরিবেশ গোয়ালগাদ্দা শিম চাষে উপযোগী। চলতি মৌসুমে ৬০০ হেক্টর জমিতে গোয়ালগাদ্দা শিম চাষ হয়েছে। আগামী বছর আরো বেশি জমিতে শিমের চাষ উন্নীত করার পরিকল্পনা রয়েছে। চলতি মৌসুমে শতাধিক টন শিম উৎপাদন হবে বলেও আশা করছেন কৃষি কর্মকর্তারা।
জালালাবাদ ভেজিটেবল অ্যান্ড ফ্রোজেন ফিশ এক্সপোর্টার্সের সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘সিলেট ওসমানী বিমানবন্দরে কার্গো হাউজ হয়েছে। সেখানে এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন স্ক্যানার (ইডিএস) মেশিন স্থাপন হয়েছে। কিন্তু সরকারি প্যাকিং হাউজ না থাকায় আমরা এর সুফল পাচ্ছি না। এতে সম্ভাবনা থাকলেও আশানুরূপ রফতানি হচ্ছে না। সিলেটের শিম মূলত কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়। সরাসরি কিছু কৃষক স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করেন। এরপর ঢাকায় সেন্ট্রাল প্যাকিং হাউজের ছাড়পত্র নিয়ে বিদেশে পাঠাতে হয়। এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। সিলেটে প্যাকিং হাউজ হলে শিমের পাশাপাশি অন্যান্য সবজি পণ্যও রফতানি সম্ভব।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সিলেটের উপপরিচালক খায়ের উদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘সিলেটের সবজির মধ্যে গোয়ালগাদ্দা শিম বেশ সম্ভাবনাময়। এটি ইউরোপসহ বিশ্বের কয়েকটি দেশে রফতানি হচ্ছে। এ বাজার দিন দিন বড় হচ্ছে।’
সিলেট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক সভাপতি ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, ‘সিলেটে উৎপাদিত লেবুসহ শাকসবজি রফতানি হয়। গোলাপগঞ্জের গোয়ালগাদ্দা শিমও ইউরোপে বেশ জনপ্রিয়। সিলেট থেকে সবজিপণ্য রফতানি শুরু হলে শিম রফতানি কয়েক গুণ বাড়বে। প্যাকিং হাউজ করা সিলেট অঞ্চলের রফতানিকারকদের দীর্ঘদিনের দাবি। কিন্তু সরকারি উদ্যোগে প্যাকিং হাউজ করার আশ্বাস দিলেও বাস্তবে তা হচ্ছে না।’
[hupso]