» ছাত্রলীগ নেতার হা ম লা য় কর্মী নি হ তে র ঘটনায় আ ট ক-১

প্রকাশিত: ০৩. ফেব্রুয়ারি. ২০২৪ | শনিবার

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় অন্তর্দ্বন্দ্বে ছাত্রলীগ কর্মী আবুল হোসেন (২৫) নিহতের ঘটনায় একজনকে আটক করেছে পুলিশ। তাৎক্ষণিকভাবে তার নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। 

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইয়ারদৌস হাসান। 

 শুক্রবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল হোসেন মারা যান। ময়না তদন্ত শেষে আজ শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়। আছরের নামাজের পর দক্ষিণ সুরমার মেনিখলা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে জানাযার নামাজ এবং পরে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়।

 

 

আবুল হোসেনের বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্বরপুরে। তার পিতার নাম আউয়াল মিয়া। পরিবারের সঙ্গে তিনি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষিণ সুরমায় মোমিনখলা এলাকার একটি বাসায় থাকেন। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

 

 

জানা গেছে, স্থানীয়ভাবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষে অন্তর্দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এরই জের ধরে কয়েকদিন আগে স্থানীয় একটি ওয়াজ মাহফিলে আবুল হোসেনের সঙ্গে ২৫ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু দ্বারদা জিহাদ তামি’র গ্রুপের কর্মীদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডা হয়। এই বিষয়ে গত ২৫ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে দক্ষিণ সুরমার বাইপাস এলাকায় বিচার-সালিশ হওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু ওইদিন নির্ধারিত সময়ে আবুল হোসেন ও জাবের আহমদসহ আরও কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী সেখানে গেলে তাদের একটি দোকানে নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হলে ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি আবু দ্বারদা জিহাদ তামি ও তার ছোট ভাই জামি এবং তাদের সহযোগী টিপু নেতৃত্বে ২৫/৩০ জনের একটি গ্রুপ তাদের মারধর শুরু করে। এসময় আবুল হোসেনসহ মোট ৬জন আহত হন। আহত অপর ৫জন হলেন- জাবের আহমদ, সাজু, রাজু, আবিদ ও আহমদ শাহেদ। এদের মধ্যে আবুল হোসেন, জাবের ও সাহেদ আহমদের অবস্থা ছিলো গুরুতর। এর মধ্যে শুক্রবার বিকালে আবুল হোসেন মারা যান। 

 

 

দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি মো. ইয়ারদৌস হাসান শনিবার বিকালে সিলেটভিউ-কে বলেন- ওইদিন ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। ঘটনার পর আবুল হোসেনর বাবা থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। এ ঘটনায় আজ একজনকে আটক করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে বলছি।

[hupso]