» ধর্ষণে তিনি কি সেঞ্চুরি হাঁকাবেন নাকি?

প্রকাশিত: ০৫. ফেব্রুয়ারি. ২০২৪ | সোমবার

মাসউদ আজহার। বয়স প্রায় চল্লিশ। পেশায় তিনি একজন মাদ্রাসা শিক্ষক। পেশায় শিক্ষক হলেও বছরে ২ বার শিশু ধর্ষণের অভিযোগে শ্রীঘরে জায়গা হয়েছে তার। এখনো এক বছর পূর্ণ হয় নি। গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারী চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। কারাগার থেকে ফিরে বছর পেরুনোর আগেই আবারও একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। সেই অভিযোগে ফের গ্রেফতার করা হয়েছে তাকে।

তিনি জৈন্তাপুর উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের চাক্তা গ্রামের বাসিন্দা ও রাওজাতুল ইসলাম চাক্তা মাদ্রাসার পরিচালক।

জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টার দিকে মাদ্রাসার অফিস কক্ষে চতুর্থ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। তখন শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারকে বিষয়টি জানালে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তখন।

কিছুদিন পর জামিনে মুক্তি হয়ে আবারও একই অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার সকালে ৫ বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীকে একা পেয়ে তার কক্ষে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন অভিযুক্ত শিক্ষক। পরদিন শুক্রবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মাকে বিষয়টি জানায় ভুক্তভোগী শিশু। পরে রোববার সকালে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় অভিযোগ দাখিল করেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার চাক্তা গ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

[hupso]