- সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
- কোয়ারী বন্ধের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের দিকে পাথর সংশ্লিষ্টরা
- পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ গনমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও প্রবাসীর সম্পদ লুটপাট
- পঞ্চগ্রামে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং-২০২৫ সম্পন্ন
- আত্মজা খুনি
- মেজরটিলায় মেয়ে ও পিতার গলা কাটা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর
- জকিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হত্যা না আত্মহত্যা?
- প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিবে NTRCA, গণবিজ্ঞপ্তি আজ, আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না ৩৫ ঊর্ধ্বরা।
- টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট ব্যবসায় ঠকছেন ভ্রমণকারীরা: প্রশাসনের সতর্কতা
- পঞ্চগ্রাম ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন
» সবজির আগুনে ক্রেতা ছাই
প্রকাশিত: ১৩. মার্চ. ২০২৪ | বুধবার

সিলেটে পবিত্র রমজান মাসে মাত্র ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে দ্বিগুণ বেড়েছে সবজির দাম। আগের দিন যা ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে তা আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকায়। এছাড়াও নগরীতে এক লাফে সব সবজির দাম দ্বিগুণ বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এ অবস্থায় নিম্ন আয়ের মানুষজন দিশেহারা সবজীর আগুনে যেনো পুড়ছেন তারা।
বুধবার (১৩ মার্চ) সিলেট নগরীর বন্দরবাজার, আম্বরখানা, রিকাবীবাজারসহ বিভিন্ন বাজার ঘুরে এই চিত্র দেখা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, টমেটো দুই দিন আগে প্রতি কেজি বিক্রি হতো ৩৫-৪০ টাকায়, তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ টাকায়। ৩০ টাকা কেজির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি; যা সপ্তাহখানেক আগে ছিল ৪০-৫০ টাকা। গাজরের কেজি ৭০-৮০ টাকা। কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা করে কেজি দরে, যা দুই দিন আগেও ছিল ৬০-৭০ টাকা। এছাড়াও লেবু প্রতি প্রকার ভেদে ৬০- ৮০ টাকা হালি, ব্রয়লার মুরগির কেজি ২২০থেকে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ২৩০-২৩৫ টাকায়। দেশি মুরগির কেজি ৭০০ টাকা। গরুর মাংসের মূল্য ৭৫০ টাকা সিটি করপোরেশন নির্ধারণ করে দিলে মানা হচ্ছেনা সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত । কাজীটুলা শাহীন মাংসের দোকানে আজ রাত ১০ পর্যন্ত ৭৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আম্বরখানা বুরহান উদ্দিন রঃ মাংসের দোকানে বিক্রি হচ্ছে গরুর নামে মহিষের মাংস। অভিযোগ রয়েছে ওই দোকানে প্রায়শই মহিষ জবাই করা হয়। ৭৮০ টাকা কেজি ধরে বিক্রি করা হয় মাংস। খোলা খেজুর ২০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে, যা আগে ছিল ১০০-১২০ টাকা কেজি।
সবজি বিক্রেতারা জানান, সবজির মূল্য রমজানের এক দুইতিন দিন আগ থেকেই বেড়েছে। বর্তমানে কিছুটা কম আছে। রমজান এলে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মালপত্র দিয়ে ক্রেতাদের সামাল দেওয়া যায় না। এজন্য বেশি দামেই বিক্রি করি আমরা।
এদিকে সিলেট জেলা প্রশাসন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং তদারকি-সংক্রান্ত সভায় বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যেই পাঁচটি বাজার তদারকি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়াও অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।তবে ক্রেতারা বলছেন প্রশাসনের কোনো তৎপরতা কোথায়ও চোখে পড়েনি। তারা বলছেন প্রশাসনের কাজ হচ্ছে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মিটিং করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ছাড়া বাস্তবিক কোনো তৎপরতা নেই।