» আগ্নেয়াস্ত্র মাদকসহ র‌্যাবের হাতে আটক যুবক দক্ষিণ সুরমার

প্রকাশিত: ২৭. মে. ২০২৪ | সোমবার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি চা বাগানের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে দেলোয়ার হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ আটক করেছে র‍‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍‍্যাব)-৯। এ যুবক ভয়ংকর এক অপরাধী বলে ধারণা করছে র‍‍্যাব। তারা বলছে- অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে দেলোয়ারের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।

 

এছাড়া তার কাছে পাওয়া জাতীয় পরিচয়পত্রে বাড়ি সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় উল্লেখ থাকলেও সেটি সঠিক নয় বলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বিশেষ বাহিনী র‍‍্যাবের ধারণা। 

 

রবিবার দিবাগত রাতে র‍‍্যাব-৯ এর শ্রীমঙ্গল ক্যাম্পের একটি টিম উপজেলার জাগছড়া চা বাগানের পরিত্যক্ত একটি বাড়ি থেকে দেলোয়ারকে আটক করে। এসময় তার সঙ্গে থাকা আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। আটককালে তার কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩ বোতল বিদেশি মদ, ৩ বোতল ফেনসিডিল এবং ২ রাউন্ড গুলিভর্তি ১টি বিদেশি পিস্তল জব্দ করে র‍‍্যাব। 

 

এ তথ্য সোমবার (২৭ মে) দুপুরে শ্রীমঙ্গল কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে র‍‍্যাব-৯ এর লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া উইং পরিচালক কমান্ডার আরাফাত ইসলাম  জানিয়েছেন।

 

আটকের পর র‍‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার জানান, তিনি দক্ষিণ সুরমার পিরোজপুর (সিটি করপোরেশন) আবাসিক এলাকার বাসিন্দা। তবে তার কথা বলার ভঙ্গিতে তিনি ব্রিটিশ নাগরিক বলে র‍‍্যাবের সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি স্বীকার করেন দেলোয়ার।

 

র‍‍্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার সিনিয়র এএসপি মশিউর রহমান সোহেল এর বরাতে জানা যায় তাদের সদর দপ্তরের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জাগছড়া চা বাগানের ১৪ নং সেকশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে দেলোয়ারকে আটক করা হয়। অভিযানকালে র‍‍্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে তার সহযোগী কয়েকজন পালিয়ে যান। আটককৃত দেলোয়ারের অশৃঙ্খল ও উদ্যত আচরণ দেখে এবং বাংলা ও বৃটিশ উচ্চারণ মিলিয়ে কথা বলার ধরণ শুনে র‍‍্যাবের প্রবল সন্দেহ হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি চমকপ্রদ কিছু তথ্য দিয়েছেন, যা অধিকতর তদন্তের দাবি রাখে। 

র‍‍্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান- দেলোয়ারের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তিনি মাদক সেবনকারী এবং মাদক সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। তার প্রকৃত নাম দেলোয়ার হোসেন। তবে তিনি আলী হোসেন নামে বাংলাদেশে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে- পরিচয় গোপন করতে গিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে তিনি এমনটি করেছেন। দীর্ঘদিন তিনি আত্মগোপন করে সিলেটে বসবাস করছিলেন। দেলোয়ারের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলোর বিষয়ে র‍‍্যাবের পক্ষ থেকে অধিকতর তদন্ত করা হবে। এছাড়া তার সহযোগিদের আটকের চেষ্টা করবে র‍‍্যাব-৯।

 

সোমবার বিকালে দেলোয়ারকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তার করা হয়েছে বলে এএসপি মশিউর রহমান সোহেল জানিয়েছেন।

 

[hupso]