» ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলরের বিবৃতি

প্রকাশিত: ২৭. মে. ২০২৪ | সোমবার

সম্প্রতি ফিলিস্তিনে সংগঠিত আগ্রাসন, দখল, গণহত্যার ঘটনায় ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সিকৃবির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। পাশাপাশি তিনি ইসরাইলি বাহিনীর বর্বর অবরোধের বিরুদ্ধে নিন্দা জ্ঞাপন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে। প্রফেসর ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা বলেন, বাংলাদেশের জনগণ ও সরকার সবসময় মুক্তিকামী ও শোষিতদের পক্ষে অবস্থান নেয়। কারণ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠি থেকে স্বাধীনতা অর্জন করেছে। ফিলিস্তিনের জনগণও এখন তাদের ভূমির জন্য ও সার্বভৌমত্বের জন্য লড়ছে। এটি এখন আর ধর্মযুদ্ধ নয়, কারণ ফিলিস্তিনের নিপীড়িত জনগণের জন্য এখন সারাবিশ্বের মুসলমান, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধসহ সকলেই প্রার্থনা করছেন। এমনকি খোদ ইসরাইলের ইহুদিরাই তাদের সরকারের বিপক্ষে, ফিলিস্তিনে নির্বিচারে মানুষ হত্যার সমালোচনা করছেন, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনছেন।
ব্যাথাতুর হৃদয়ে সিকৃবির ভিসি বলেন, অনেক রক্ত ঝরেছে। উপবাস, দুর্ভিক্ষ, মৃত্যু, তিলে তিলে গড়ে তোলা সভ্যতার সম্পূর্ণই ধ্বংস। পৃথিবীর মানুষ ভুলতে পারছে না রক্তাক্ত ফিলিস্তিনবাসীর ভয়ঙ্কর স্মৃতি। তাই বিশ্বের সর্বত্র আজ যুদ্ধ বিরোধী শান্তির স্লোগান। ফিলিস্তিনিরা ঘরছাড়া, রাস্তায় বেরুলেই গুলি । ভেঙে পড়েছে তাদের কৃষি ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থা। আন্তর্জাতিক ত্রাণের উপর ভরসা করে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে। এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। নিজ দেশে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার সকলেরই আছে। ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সারা বিশ্ব জুড়ে চলছে বিক্ষোভ ও মিছিল। সংঘাতপূর্ণ ফিলিস্তিনে ন্যায় ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়ার জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই সময়।
১৯৭১ সালের ৭ জুলাই কায়রো থেকে প্রকাশিত আল আহরাম পত্রিকায় দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন ফিলিস্তিনি নেতা ও পিএলও প্রধান ইয়াসির আরাফাত বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বলেছিলেন, বাঙালিরা ফিলিস্তিনীদের মতোই তাদের মাতৃভূমির জন্য লড়ছে। এবার আমরাও বলতে চাই- ইসরায়েলি আগ্রাসন ও গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিন জাতির মুক্তি চাইছে বাংলাদেশ।

[hupso]