- আজহারীর মাহফিলের পর একটি চুরি ও ২৫ জিডি করা হয়েছে
- শাবি’র ২৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- সিলেটে ৫৪ বছর পর সন্ধান মিললো পাঁচ শহীদের
- মেয়ের সম্ভ্রমহানি, খবর শুনে মা রা গেলেন বাবা
- বিশ্বনাথ ছাত্রলীগের ২২ নেতা কর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ ৬ জন জেল হাজতে
- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি মঈন উদ্দিন, সেক্রেটারি নাসির
- আল্লামা বালাউটি রহ ৫ম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন |
- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
» সাংবাদিক তুরাব নি হ তে র ঘটনায় থানায় অভিযোগ
প্রকাশিত: ২৫. জুলাই. ২০২৪ | বৃহস্পতিবার
অভিযোগপত্রটি মামলা আকারে নেওয়া হয়নি।
গত ১৯ জুলাই সিলেট মহানগরের বন্দরবাজার এলাকায় গুলিতে সাংবাদিক এটিএম তুরাব নিহতের ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়েরের উদ্দেশ্যে লিখিত অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে নিহতের ভাই বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেন। তবে পুলিশ সেটি জিডি (সাধারণ ডায়েরি) হিসেবে নিয়েছে। অভিযোগপত্রে ৮-১০ অজ্ঞাত পুলিশকে অভিযুক্ত করেছেন তোরাবের বড় ভাই আবুল হাসান মো: আজরফ (জাবুর আহমদ)।
অভিযোগ দায়েরের বিষয়টি সিলেটভিউ-কে নিশ্চিত করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঈন উদ্দিন শিপন বলেন- এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আগেই একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেটির তদন্ত চলছে। বুধবার রাতে পরিবারের পক্ষ থেকে দায়েরকৃত অভিযোগটি আমরা রেখেছি এবং জিডি হিসেবে রেকর্ড করেছি।
এক প্রশ্নের উত্তরে ওসি বলেন- কার এবং কোন দিক থেকে আসা গুলিতে বিদ্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন, এসব বিষয় তদন্ত করা হচ্ছে। এখনই নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। পরিবারের লিখিত অভিযোগ ও পুলিশের মামলাকে সমন্বয় করে তদন্ত এগুচ্ছে।
বুধবার রাতে কোতোয়ালি থানায় সিলেটের সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বশীল সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে সাথে নিয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন তুরাবের বড় ভাই আবুল হাসান। অভিযোগপত্রটি গ্রহণ করেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার আজবাহার আলী শেখ (পিপিএম) কোতোয়ালী থানার ওসি মো. মঈন উদ্দিন শিপন।
অভিযোগে আবুল হাসান উল্লেখ করেন -গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) দুপুর ১ টা ৫৫ মিনিটের সময় পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য মহানগরের বন্দরবাজার এলাকার কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান করছিলেন তুরাব। এক পর্যায়ে বিএনপির মিছিল শুরু করলে তুরাব মিছিলের পিছনে অন্যান্য সহকর্মীদের সঙ্গে অবস্থান নেয়। মিছিলটি পুরানলেন গলির মুখে পৌঁছলে সশস্ত্র পুলিশ বিপরীত দিকে অবস্থান নেয়। ওই সময় হঠাৎ লাগাতার গুলিবর্ষণের শব্দ শুনা যায় এবং তুরাব চিৎকার করে মটিতে লুঠিয়ে পড়ে। তখন সহকর্মী ও পথচারীরা তাকে দ্রুত সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাতালে নিয়ে যান। কিন্তু সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় এবং তার শারীরিক অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য মহানগরের সোবহানীঘাট এলাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় ওই দিন সন্ধ্যা ৬টা ৪৪ মিনিটের সময় সে মৃত্যুবরণ করে।
গোলাগুলির স্থিরচিত্র ও ভিডিও চিত্র সেখানে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের কাছে রয়েছে বলে আবুল হাসান অভিযোগপত্রে উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জন পুলিশকে অভিযাক্ত করেছেন।
এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান (পিপিএম) বলেন- ‘কী কারণে এবং কীভাবে সাংবাদিক তুরাব নিহত হয়েছেন তার তদন্ত চলছে। ময়না তদন্ত হয়েছে। ময়না তদন্ত ও পুলিশ তদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
[hupso]