- শাকসু নির্বাচন ডিসেম্বরে
- যেখানে সংস্কৃতির চর্চা শক্তিশালী, সেখানে সহিংসতা কম: পুলিশ কমিশনার
- ১৩ নভেম্বর আতঙ্কিত দেশের মানুষ।
- সিলেট ৪ আসনে বিএনপি প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী
- সিলেটের ৪ টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা
- সাবেক মেয়রের মশাল মিছিল
- সিলেটে জাগপায় যোগদান উপলক্ষে সংবর্ধনা
- সিলেটে আওয়ামীলীগ নেতা খুন
- অপরাধ প্রবণ এলাকা শাহপরাণও কতোয়ালী
- হচ্ছে না সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির নির্বাচন।
» শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানীর অভিযোগে অগ্রগামীর ছাত্রীদের বিক্ষোভ
প্রকাশিত: ২১. আগস্ট. ২০২৪ | বুধবার
সিলেট মহানগরের জিন্দাবাজার এলাকার অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সাবেক এবং বর্তমান ছাত্রীরা যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) দুপুরে তারা বিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেন এবং প্রধান শিক্ষিকা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দেন। পরে বেলা ২টার দিকে মিছিল নিয়ে তারা তালতলাস্থ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে গিয়ে তাঁর কাছেও লিখিত অভিযোগটি দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, শিক্ষক মো. সাহিদ তাদের যৌন হয়রানি করেন। তারা সরাসরি ভিকটিম। কয়েক বছর ধরে তার এ কার্যক্রম চলছে। মানসম্মান হারানোর ভয়ে কেউ এতোদিন মুখ খুলতে চায়নি।
কয়েকজন শিক্ষার্থী এবং কয়েকজন অভিভাবক জানান, নগরীর বন্দরবাজারস্থ নিউ নেশন লাইব্রেরির পাশে, একটি ভবনে বসবাস করেন এই শিক্ষক। এই বাসাতে শিক্ষকতার পাশাপাশি কোচিং বাণিজ্যও চালিয়ে আসছেন তিনি। দুদিন আগেও কয়েকজন তার বাসায় পড়তে যান। এসময় সালমা (ছদ্মনাম) নামে একজনকে তার শয়নকক্ষে মোবাইল ফোনটি নিয়ে আসতে বলেন। এর আগে তিনি অন্য ছাত্রীদের ছুটি দিয়ে দেন। ফোন আনতে যাওয়া মাত্র শিক্ষক সাহিদ দরজা বন্ধ করে দেন। এভাবে অনেক ঘটনা কোচিং সেন্টারের আড়ালে চালিয়ে গেলেও তা প্রকাশ পায়নি। তবে এখন সেই মেয়েরাই প্রতিবাদ জানাচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে, গণ্যমাধ্যমে যোগাযোগ করছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে শিক্ষক সাহিদ বলেন, ‘বিষয়টি মিথ্যা, উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমার পেছনে কেউ লেগে গেছে।’
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হেপী বেগম বলেন, মেয়েরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে, ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। এর আগে অন্য একটি বিষয়ে শিক্ষক সাহিদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন সিলেটের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার দেবজিৎ সিংহ। আর এখন করছে মেয়েরা। আমরা বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবগত করেছি।’
বিষয়টি নিয়ে কথা হলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. আব্দুল ওয়াদুদ জানান, ‘আমি বিষয়টি সম্পর্কে জেনেছি। লিখিত পেয়েছি। আমার জায়গা থেকে সব ব্যবস্থা নেয়া হবে।
[hupso]