- সিলেটে ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
- অবিস্মরণীয় উদ্যোগ: বিমান ভাড়া কমেছে ৭৫ ভাগ
- এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- সিলেটের বিশ্বনাথে ৬’বছরের শিশু ধর্ষণকারী আটক
- কিসের ইফতার কিসের কি একে অপরকে ঘায়েল করতে উন্মাদ দু’গ্রামবাসী
- চিকিৎসা সেবা ব্যাহত: কমপ্লিট শাট ডাউনে ইন্টার্নরা
- ওরা ধর্ষক
- শাহ আরেফিন টিলায় কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ
- ঢাকার বিকল্প রাজধানী হতে পারে যে শহর? এআই বলছে সিলেট
- রড- সিমেন্টের দাম কমলেও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিক্রি করছেন চড়া দামেই
» ওয়াইফাই সিটির নামে ওয়াইফাই সংযোগ হরিলুট প্রজেক্ট গুলোর একটি
প্রকাশিত: ২২. ফেব্রুয়ারি. ২০২৫ | শনিবার

ঢাকঢোল পিটিয়ে সিলেট নগরীকে ঘোষণা করা হয়েছিল দেশের প্রথম ‘ওয়াইফাই সিটি’। এজন্য ব্যয় করা হয় ৩০ কোটি টাকা। কোন ধরণের পরিকল্পনা ছাড়াই নগরের ১২৬টি পয়েন্টে সংযোগ দেওয়া হয়েছিল ওয়াইফাই। কিন্তু পরবর্তীতে এই সেবা কিভাবে চলবে, পরিচালনা ব্যয় কে বহন করবে তার কোন নির্দেশনা ছিল না প্রকল্পে। ফলে প্রকল্পটি চালুর দেড় বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যায় ফ্রি ওয়াইফাই সেবা কার্যক্রম। মুলত ‘ওয়াইফাই সিটি’র নামে ৩০ কোটি টাকা লুটপাট করতেই প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছিল বলে মনে করছেন সচেতন মহল।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটকে ‘ওয়াইফাই সিটি’ করতে নগরের ৬২টি এলাকার ১২৬টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয়। সেবা প্রাপ্তির ইউজার নেম ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আর পাসওয়ার্ড দেওয়া হয় ‘জয় বাংলা’। ২০১৯ সালের ২৭ জুন প্রকল্পটির উদ্বোধন হলেও ওয়াইফাই সংযোগ দেওয়া হয় ২০২০ সালের ৭ এপ্রিল। প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি)।
প্রকল্প বাস্তবায়নের শুরুতে বলা হয়েছিল, প্রতিটি একসেস পয়েন্টে এক সঙ্গে ৫০০ জন ব্যবহারকারী যুক্ত থাকতে পারবেন। এর মধ্যে এক সঙ্গে ২০০ জন উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাবেন। একসেস পয়েন্টের চর্তুদিকে ১০০ মিটার এলাকায় ডেডিকেটেড ব্যান্ডউইথ ১০ এমবিপিএস পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেবা চালুর পর থেকে হতাশ হন নগরবাসী। অনেক পয়েন্টে ইন্টারনেট সংযোগই মিলেনি। আর যেসব পয়েন্টে সংযোগ মিলেছে সেগুলোতেও ইন্টারনেটের কাঙ্খিত গতি মিলেনি। ফলে প্রকল্পটি নিয়ে নগরবাসীকে যে স্বপ্ন দেখানো হয়েছিল, তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি।
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) সূত্র জানায়, একসেস পয়েন্টগুলোতে প্রায় দেড় বছর ইন্টারনেট সংযোগ ছিল। কিন্তু ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সিটি করপোরেশন কোন অর্থ বরাদ্দ না পাওয়ায় এই সেবা বন্ধ হয়ে গেছে। প্রথম এক বছর ইন্টারনেট সেবার ব্যয়ভার নির্বাহ করে বাস্তবায়নকারী সংস্থা বিসিসি। এরপর আরও ৬ মাস সেবাটি চালু রাখে ইন্টারনেট সংযোগকারী প্রতিষ্ঠান ‘আমরা নেটওয়ার্ক’।সিলেট জেলা ভ্রমণ প্যাকেজ
বিসিসি প্রকল্পটি সিটি করপোরেশনকে হস্তান্তর করলেও এর ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য কোন বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। এর মধ্যে বিদ্যুতের কাজসহ বিভিন্ন ধরণের সেবা কার্যক্রমের সংস্কার করতে গিয়ে বিভিন্ন স্থানে ফাইবার অপটিক্যাল লাইনও কাটা পড়ে। এটি মেরামত করতে প্রয়োজন পড়ে প্রায় ৪২ লাখ টাকা। প্রকল্পটি সচল রাখতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছে অর্থ বরাদ্দ
চেয়েও মিলেনি। ফলে একপর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের বিদ্যুৎ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) জয়দেব বিশ্বাস জানান, শুরু থেকেই প্রকল্পটি খুব আশা জাগাতে পারেনি। ইন্টারনেটের গতি খুব ভাল ছিল না। ইউজার একটু বেশি হলেই গতি কমে যেত। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রকল্পটি অব্যবহৃত হিসেবে পড়ে থাকায় এটি এখন সহজে চালু করাও সম্ভব নয়। প্রকল্পটি ফের চালু করতে হলে এখন কোটি টাকার দরকার। এছাড়া ইন্টারনেটের বিল ও ব্যবস্থপনার জন্য প্রতি মাসে ৭-৮ লাখ টাকার প্রয়োজন। এখন আর প্রকল্পটি সচল করার পরিকল্পনা নেই সিটি করপোরেশনের।
[hupso]