- সিলেট এন্টি করাপশন সোসাইটির পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন
- কোয়ারী বন্ধের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের দিকে পাথর সংশ্লিষ্টরা
- পুলিশ সুপার বরাবরে অভিযোগ গনমাধ্যমে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও প্রবাসীর সম্পদ লুটপাট
- পঞ্চগ্রামে ফ্রি রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ক্যাম্পিং-২০২৫ সম্পন্ন
- আত্মজা খুনি
- মেজরটিলায় মেয়ে ও পিতার গলা কাটা রহস্য উদঘাটনে পুলিশ তৎপর
- জকিগঞ্জে প্রবাসীর স্ত্রীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার হত্যা না আত্মহত্যা?
- প্রায় এক লক্ষ শিক্ষক নিয়োগ দিবে NTRCA, গণবিজ্ঞপ্তি আজ, আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না ৩৫ ঊর্ধ্বরা।
- টাঙ্গুয়ার হাওরে হাউসবোট ব্যবসায় ঠকছেন ভ্রমণকারীরা: প্রশাসনের সতর্কতা
- পঞ্চগ্রাম ছাত্র ও সমাজ কল্যাণ পরিষদের নতুন কমিটি গঠন
» কোয়ারী বন্ধের প্রতিবাদে কঠোর আন্দোলনের দিকে পাথর সংশ্লিষ্টরা
প্রকাশিত: ২৯. জুন. ২০২৫ | রবিবার

দেশের অন্যান্য পাথর কোয়ারি ইতিপূর্বে খুলে দেয়া হয়েছে। ব্যবসায়ী শ্রমিকরা এতে খুশি হলেও খুশি নয় সিলেট অঞ্চলের পাথরখাত সংশ্লিষ্টরা। নানা আবেদন নিবেদন দেন-দরবারের পরও কাজ হয়নি। বরং আগুনে ঘি ঢেলেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। সিলেটের আর কোনো পাথর কোয়ারি খুলে দেয়া হবেনা- সম্প্রতি সিলেট সফরে এসে দেওয়া তার এমন ঘোষণার পর তৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়া হিসাবে অবরোধের মুখে পড়েছিলেন তিনি
এবার সিলেটের আপামর জনসাধারণের জীবন হুমকির মুখে। কারণ, লাগাতার কঠোর আন্দোলন শুরু করেছে পাথরখাত সংশ্লিষ্ট মালিক, ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।
বেলা, বাপার মতো পরিবেশবাদী সংগঠন ও দেশের সচেতন মহলের দাবির মুখে ২০২০ সালে দেশের আরও কয়েকটি পাথর কোয়ারির সাথে সিলেট অঞ্চলের কোয়ারিগুলো থেকেও পাথর উত্তোলন নিষিদ্ধ করেন সরকার
সরকারের এমন সিদ্ধান্তের পর মারাত্মক সমস্যায় পড়েন কোয়ারির মালিক শ্রমিকসহ প্রায় ২০ লাখ মানুষ। এর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্রভাব পড়ে সিলেটের সার্বিক অর্থনীতিতে।
কোয়ারি মালিক, পরিবহণ মালিক-শ্রমিক ও কোয়ারি শ্রমিকরা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হন। তার বারবার সরকারের সঙ্গে দেন-দরবার আবেদন নিবেদন করতে থাকেন। কিন্তু সরকার আর কিছুতেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেনি।
তবে চলতি বছরের জানুয়ারির দিকে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের কোয়ারিগুলো খুলে দিলেও সিলেটের ব্যাপারে বন্ধের সিদ্ধান্তই বহাল রাখা হয়। এতে এখাতের সাথে জড়িতদের মধ্যে হতাশা আরও বাড়তে থাকে।
তারপর জুনের মাঝামাঝিতে সিলেট সফরে আসেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে গিয়ে তিনি ঘোষণা দেন, সিলেটের আর কোনো পাথর কোয়ারি খোলা হবেনা বলে পরিস্কার ঘোষণা দেন।
তার এমন ঘোষণার বিষয়টি জানার পর ফুঁসে উঠেন সাধারণ মানুষ। এমনকি উপদেষ্টার গাড়িবহরকে বেশ কয়েক ঘন্টা অবরোধও করে রেখেছিলেন বিক্ষুব্ধ মানুষ।সিলেট
এরপর আন্দোলনের পরিকল্পনা করতে থাকে পাথর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও শ্রমিক কল্যাণ ঐক্য পরিষদ। সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সম্প্রতি এক সমাবেশে ঐক্য পরিষদ নেতৃবৃন্দ তাদের আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিন ধাপের এ আন্দোলনের প্রথম ধাপের কোয়ারি ও লোড-আনলোড পয়েন্টে ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরতি চলছে এখন। শনিবার সকাল ৬টা থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়। চলবে সোমবার ভোর পর্যন্ত।
প্রথম ৪৮ ঘন্টার কর্মসূচি সফলে শনিবার সারাদিন সিলেটের গোয়াইনঘাট কানাইঘাট কোম্পানীগঞ্জসহ অন্যান্য কোয়ারি সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো সফর করেন। এসময় দেখা যায়, কোথাও কেউ কোনো কাজ করছেন না। লোড-আনলোড পয়েন্টগুলো ছিল প্রায় জনশূণ্য।
পাথর কোয়ারি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ নেতা শাব্বির আহমদ ফয়েজ জানান, ৪৮ ঘন্টা কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। আশা করছি সফলভাবে শেষ হবে। এরপর আমাদের আরও কঠোর কর্মসূচি আছে।
সেই কঠোর কর্মসূচি হচ্ছে সোমবার সকাল থেকে ৪৮ ঘন্টার জন্য শুরু হবে পণ্য পরিবহনে কর্মবিরতি। তারপর শুরু হবে আরও বড় কর্মসূচি। সেটা হচ্ছে অনিদিষ্টকালের জন্য পণ্য ও গণপরিবহনে কর্মবিরতি।
আন্দোলনকারীদের মধ্যে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, আন্দোল তীব্র থেকে তীব্র হওয়ার পথে। কিন্তু এখনো প্রশাসনের টনক নড়েনি। সহসা নড়বে- এমনটাও মনে করছেন না কেউ।
[hupso]