» জগন্নাথপুরের রাণীগঞ্জ বাজারে গণহত্যা দিবসে নেওয়া হয়নি কোনো কর্মসূচি

প্রকাশিত: ০১. সেপ্টেম্বর. ২০২৫ | সোমবার

প্রতিটি জাতির একটি বড় অর্জন থাকে
আমাদের সবচেয়ে বড় অর্জন স্বাধীনতা এরজন্যে আমাদের দিতে হয়েছে চড়া মূল্য।
হারাতে হয়েছে ৩০ লক্ষ প্রাণ, দিতে হয়েছে ২ লক্ষ নারীর সৃ্ভ্রম
আজ সেইদিন
পহেলা সেপ্টেম্বর রানীগঞ্জ গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঁঞ্জ ইউনিয়নের কুশিয়ারা নদী তীরে অবস্থিত প্রাচীণতম ব্যবসা কেন্দ্র রানীগঞ্জ বাজারে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের দোসর রাজাকারদের সহায়তায় গণহত্যা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হত্যা করে। পেট্রোল দিয়ে জ্বালিয়ে দেয় পুরো রানীগঞ্জ বাজার। বিগত দিনে দিবসটি পালনে স্থানীয়ভাবে নেয়া হয়েছে নানা কর্মসূচী।

এলাকাবাসী ও ইতিহাস সূত্র মতে, ৩১শে আগষ্ট শ্রীরামসি গণহত্যার পরদিন ১ সেপ্টেম্বর রানীগঞ্জ বাজারে এই গণহত্যা সংঘটিত হয়। ইতিহাসের বর্বর এই নারকীয় তান্ডবে শতাধিক লোক মারা গেলেও হত্যাযজ্ঞের পর ৩৪ জনের নাম পরিচয় পাওয়া যায়। অন্যদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। রানীগঞ্জ বাজারের এই ধ্বংসযজ্ঞের খবর তৎকালীন সময় বিবিসিতে প্রচারিত হয়।

বর্বরোচিত এ হত্যাকান্ড এখনো কাঁদায় রানীগঞ্জবাসীকে। ৭১ এর পহেলা সেপ্টেম্বর রানীগঞ্জের সকল ব্যবসায়ী, বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ক্রেতা, বড় বড় নৌকার মাঝি সহ ক্রেতা-বিক্রেতাদের পাকসেনাদের সাথে নিয়ে আসা রাজাকারদের দিয়ে খবর পাঠানো হয় বাজারের একটি দোকানে জড়ো হতে।

১৯৮৭ সালে তৎকালীন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু খালেদ চৌধুরীর প্রচেষ্ঠায় ৩৪ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম ও ৩ জন আহতের নাম লিপিবদ্ধ করা হয়। ২০১০ সালে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তাদীর আহমদের প্রস্তাবে শ্রীরামসি ও রানীগঞ্জ গণহত্যার স্মৃতিসৌধে প্রশাসনিকভাবে শ্রদ্ধা নিবেদনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সেই থেকে রানীগঞ্জ গণহত্যা দিবসে উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী পালিত হচ্ছে।

প্রতি বছর রানীগঞ্জ গণহত্যায় শহীদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিল এর কর্মসূচী গ্রহণ করা হতো  এবার নানান সমস্যা থাকায় কোন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয় নাই।

[hupso]