» জৈন্তা পুরে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় নিহত ৪

প্রকাশিত: ২০. জানুয়ারি. ২০২৪ | শনিবার

সিলেট-তামাবিল সড়কে দুর্ঘটনায় নিহত ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মুসলিম ধর্মালম্বী ৩ জনের জানাযার নামাজ শেষে নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। তাদের জানাযার নামাজে কয়েক হাজার মানুষের সমাগম ঘটে।

এর আগে একজনের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করে তার পরিবার।

শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার ৪ নম্বর বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে রাংপানি নামক স্থানে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মসজিদের পুকুরে পড়ে ৪ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে।

নিহতরা হলেন- জৈন্তাপুরের নিজপাট লামাপাড়া গ্রামের জহুরুল মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য জুবায়ের আহসান (২৬), নিজপাট তোয়াসীহাটি গ্রামের রনদিপ পালের ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী নিহাল পাল (২৫), নিজপাট পানিহারাহাটি গ্রামের আরজু মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য মেহেদী হোসেন তমাল (২৪) এবং নিজপাট জাঙ্গালহাটি গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য সুমন আহমদ (২৫)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ১১টার দিকে জৈন্তাপুর বাজার থেকে চা পান করে এ চারজন একটি প্রাইভেটকারযোগে একটি কাজে জাফলং যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। গাড়ি চালাচ্ছিলেন জুবায়ের আহসান। বাংলাবাজার ব্রিজের পাশে রাংপানি নামক স্থানে যাওয়ামাত্র তাদের গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায় সিলেট-তামাবিল সড়কের পার্শ্ববর্তী মসজিদের পুকুরে পড়ে যায়।

ঘটনার পর পুলিশকে খবর দিলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় থানাপুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সদস্যরা এ চারজনকে উদ্ধার করে প্রথমে জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নিহতদের স্বজনরা জৈন্তাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও একটি গাড়িতে আগুন দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। তবে এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, রাতে নিহতের স্বজনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে লাশের ময়না তদন্ত করা হয়নি। ময়না তদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে লাশগুলো হস্তান্তর করা হয়। শনিবার বেলা ২টায় জৈন্তাপুর উপজেলা মিনি স্টেডিয়ামে (রাজবাড়ি মাঠে) একসঙ্গে তিনজনের জানাযার নামাজ শেষে নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আরেকজনের মৃতদেহ স্থানীয় শশ্নানে সৎকার করে তার পরিবার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভাঙচুর ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের বিষয়ে ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, আবেগের বশবর্তী হয়ে নিহতের স্বজনরা এমনটি করেছেন। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো।

[hupso]