» শাবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সং র্ঘ ষ, আ হ ত দুই

প্রকাশিত: ০৮. মার্চ. ২০২৪ | শুক্রবার

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংর্ঘঘের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (৮ মার্চ) বিকেল সোয়া ৫ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হল ও বঙ্গবন্ধু হলের মাঝখানে এ ঘটনা ঘটে। 

 

আহতরা হলেন, ‍নৃবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের আরিফ ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের আশফাকুর । আহতদেরকে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান,  ২০২১-২২ ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ওই ব্যাচের মেসেঞ্জর গ্রুপে পরিসংখ্যানের বিভাগের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সামজিক বিজ্ঞান অনুষদের সহসভাপতি মামুন শাহ’র সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক অযাচিত মন্তব্য করেন। পরবর্তীতে শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ইশতিয়াককে শাহপরাণ হলে ডাকেন সমাজবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান। মীমাংসার জন্য বসলে ওই হলের অতিথি কক্ষে মামুন শাহ’র সমর্থক ও ইংরেজী বিভাগের ২০২০-২১ সেশনের তৈমুর সালেহীন তাউসের সঙ্গে খলিলুর ও সজীবুর রহমানের গ্রুপের সিনিয়রদের তর্কতর্কি বাধে। পরবর্তীতে বেলা ৫টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে খলিলুর রহমানসহ কয়েকটি গ্রুপের সমর্থকরা গেলে মামুন শাহয়ের সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। উভয়পক্ষের মধ্য ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়। এসময় ধাওয়াপাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।  এতে মামুন শাহ’র দুজন সমর্থক আহত হন। 

এ বিষয়ে মামুন শাহ’র সমর্থক তানভীর ইশতিয়াক বলেন, ব্যাচের নামকরণ পছন্দ না হওয়াতে আমি কথা বলেছিলাম। পরে শান্ত তারা আদনান আমাকে শাহপরাণ হলে ডেকে নিয়ে শাসাইছে ও সিনিয়রদেরকে নিয়ে আমাকে মারতে গেছিল। পরে আমি আমার গ্রুপের ভাইদের জানাই। তারা আমাকে সেখান থেকে নিয়ে গেছে। পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু হলের সামনে গিয়েও আদনানরা ঝামেলা করেছে বলে ইশতিয়াকের ভাষ্য। 

এ বিষয়ে খলিলুর রহমানের সমর্থক শান্ত তারা আদনান বলেন, ‘ব্যাচের নামকরণ নিয়ে ঝামেলা হওয়াতে মীমাংসার উদ্দেশ্যে বসা হয়। সেখানে সেটা মীমাংসাও হয়। কিন্তু পরে ইশতিয়াক তার গ্রুপের সমর্থকদের নিয়ে ঝামেলা বাধায়। সংঘর্ষের সময় আমার হাতে কোনো অস্ত্রশস্ত্র ছিল না।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা খলিলুর রহমান বলেন, ‘২০ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মধ্যে নামকরণ নিয়ে মেসেঞ্জার গ্রুপে ঝামেলা হয়। পরবর্তীতে তারা মীমাংসার বসছিল । পরে ওদের মধ্যে তর্কাতর্কি হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে । প্রক্টরিয়াল বডি ও ছাত্রলীগের সিনিয়ররা গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।’

এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগ নেতা মামুন শাহ’র মুঠোফোনে কল দিলে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ব্যাচের নামকরন নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

[hupso]