- সিলেটে পুলিশের ৩ পদে অদল-বদল
- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
- মারা গেছেন মুনতাহার খুনি মার্জিয়ার নানী
- সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কে ট্রাক-চাপায় একজন নিহত
» বিচ্ছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো সিলেটের প্রথম ধাপের নির্বাচন
প্রকাশিত: ০৮. মে. ২০২৪ | বুধবার
জাল ভোট কেন্দ্র দখলের অপচেষ্টা ও
বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনার মধ্য দিয়ে সিলেট বিভাগের ১১টি উপজেলায় ভোট গ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ বুধবার (৮ মে) সকাল ৮টায় শুরু হয়ে ভোট গ্রহণ, শেষ হয় বিকেল ৪টায়। প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, কিছু জায়গায় অনিয়ম, জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভোট হওয়া ১১টি উপজেলা হলো- সিলেট জেলার সদর, দক্ষিণ সুরমা, বিশ্বনাথ ও গোলাপগঞ্জ, সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা, মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা এবং হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ ও বানিয়াচং।
সিলেটের জেলার সদর উপজেলায় বেশ কিছু কেন্দ্রে জাল ভোট, প্রার্থীর এজেন্টকে কেন্দ্রে ঢুকতে বাঁধা প্রদানের ঘটনা ঘটেছে। উপজেলার টুকেরবাজার ইউনিয়নের দলদলি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে দুপুরে একঘন্টা ভোট গ্রহণ সাময়িকভাবে স্থগিত রাখা হয়। ঐ কেন্দ্রে জাল ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন চা শ্রমিকরা। খাদিমপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র নং ৩১ সেখানে সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে দফায় দফায় ব্যালট পেপার ছিনতাইয়ের চেষ্টা করা হয়। সেখানকার প্রিজাইডিং কর্মকর্তা দিজরাজ বর্মন জানান সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ৬ – ৭ টা মটর বাইকে ১০ থেকে ১২ জন লোক কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে ভোট মারতে থাকে এসময় পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয় এক সময় তারা পিঁছু হটে কিছুক্ষণ পর আবারও তারা ফিরে আসে এসময় প্রিজাইডিংয়ের দায়িত্বে থাকা দিজরাজ বর্মন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য চান কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে গেলে উশৃংখলকারীরা পালিয়ে যায়। সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে একটা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ স্থগিত করা হয়।
এদিকে জহিরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান সেখানকার প্রিসাইডিং অফিসার কাজী মোঃ জাফর
তিনি জানান দুপুর ১২টায় হঠাৎ একদল তরুণ এসে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ব্যালট পেপারে জোর করে সিল মারার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাঁধা দেয় এসময় বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। ততক্ষণাৎ উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্য চাওয়া হলে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বেলা দুটো নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এক দুইজন ভোটারকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেখা যায়। এদিকে জালভোটারের ছবি তুলতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন এক ফটো সাংবাদিক। আহত সাংবাদিক রেজা রুবেল সিলেটের স্থানীয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল সিলেটপ্রতিদিন২৪ডটকম-এর কর্মরত রয়েছেন। আহত অবস্থায় তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার (৮ এপ্রিল) বিকেল সোয়া ৩টার দিকে ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, সিলেট সদর উপজেলার ঘোপাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জাল ভোট দিতে গিয়ে এক যুবক আটক হয়েছেন। তাকে ছাড়িয়ে নিতে না পেরে ছবি সাংবাদিকের ওপর চড়াও হয়েছেন কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকরা। এ সময় ওই সাংবাদিককে মারধর করা হয়।
এরআগে ১ কেন্দ্রে প্রার্থীর এজেন্টকে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ করেন চেয়ারম্যান পদে কাপ-পিরিচ প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক। আর টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী মো. খলিলুর রহমান ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে ভয়-ভীতি দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার খায়েস্তগ্রাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে বেলা আড়াইটার দিকে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া বিশ্বনাথ ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় অপ্রীতিকর কোন ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
সকাল ১০টার দিকে সিলেটের কিছু কিছু জায়গায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির খবর যায়। প্রতিকূল আবহাওয়াতেও কয়েকটি কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন ছিলো। বিশেষ করে নারী ভোটার উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে বেশীরভাগ কেন্দ্রই ছিলো ভোটার শূন্য।
বেলা ২টার দিকে সিলেটের ৪ উপজেলা ৪ ঘণ্টায় ১৮ শতাংশেরও কিছু বেশি ভোট পড়েছে বলে জানান সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন অফিসার ও উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান। তিনি বলেন, দুপুর ১২টা পর্যন্ত সিলেটের ৪ উপজেলায় গড়ে ভোট পড়েছে ১৮ শতাংশের একটু বেশি।
সিলেটের চার উপজেলার ৩০২টি ভোটকেন্দ্রের মধ্যে ১৭৪টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ ধরে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করে সিলেটের জেলা ও মহানগর পুলিশ। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে ছয় হাজারের বেশি পুলিশ ও আসনার সদস্য মোতায়েন করা হয়।
ভোটে আড়াই হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য, সাড়ে তিন হাজারের বেশি আনসার সদস্য ও চারজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকেন। এর বাইরে বিজিবি ও এপিবিএন সদস্যরাও মাঠে থাকেন।
সিলেট বিভাগের চারটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা আট লাখ ১৪ হাজার ৫২ এবং ভোটকেন্দ্র ৩০২টি। এর মধ্যে ২২টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে এবং বাকিগুলোতে ব্যালটের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
[hupso]