- সিলেটে পুলিশের ৩ পদে অদল-বদল
- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
- মারা গেছেন মুনতাহার খুনি মার্জিয়ার নানী
- সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কে ট্রাক-চাপায় একজন নিহত
» গ্যাসের ৭৭৯ কোটি টাকা বকেয়া রেখে উৎপাদনে গেছে সারকারখানা
প্রকাশিত: ১৮. আগস্ট. ২০২৪ | রবিবার
প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে ফের উৎপাদনে গেছে সিলেটের শাহজালাল সারকারখানা। গ্যাস সংকটের কারণে এতোদিন বন্ধ থাকা কারখানাটি শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকে ‘অলৌকিকভাবে’ উৎপাদনে যায়।
তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, গ্যাসের বকেয়া বিল ৭৭৯ কোটি টাকা এখনো পরিশোধ হয়নি। ‘উপরের নির্দেশে’ সীমিত পরিসরে গ্যাস সরবরাহ শুরু হওয়ায় কারখানাটি পুণরায় চালু হয়েছে। তবে গ্যাস সমস্যার সমাধান না হলে
কারখানা চালু রাখা নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।
গ্যাস সংকটের কারণ দেখিয়ে চলতি বছরের ১৩ মার্চ থেকে বন্ধ হয়ে যায় শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (এসএফসিএল)। ওই সময় কর্তৃপক্ষ জানায়, গ্যাস বাবত প্রায় ৭৭৯ কোটি টাকা বকেয়া থাকায় জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড কর্তৃপক্ষ গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে। ফলে সারকারখানাটি উৎপাদনে যেতে পারছে না। এছাড়া কারখানা বন্ধের আরেকটি কারণ হিসেবে গ্যাসের দাম প্রায় চারগুণ বৃদ্ধিকেও দায়ি করে কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ৪ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এসএফসিএল উৎপাদনে যায় ২০১৬ সালেল ১৪ আগস্ট। প্রতিদিন ১ হাজার ৭৬০ মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদনে সক্ষমতাসম্পন্ন কারখানাটি গড়ে ১ হাজার ৪৫০ টন উৎপাদন করে আসছিল। সারের সাথে উপজাত হিসেবে কারখানাটিতে উৎপাদন হতো তরল এমোনিয়া।
সূত্র জানায়, শাহজালাল ফার্টিলাইজার সারকারখানা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখানো হলেও প্রকল্পটি লাভের মুখ দেখেনি। এখন পর্যন্ত কারখানাটি থেকে উৎপাদিত সার বিক্রি বাবত ৫৫৫ কোটি টাকা সরকারি কোষাগারে জমা হলেও জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষ কোম্পানিটির কাছে পাওনা ৭৭৯ কোটি টাকা।
এসএফসিএল সূত্র আরও জানায়, জালালাবাদ গ্যাস তাদের সরবরাহকৃত গ্যাসের মূল্য চার গুণ বৃদ্ধি করেছে। প্রতি ইউনিট গ্যাস ৪ টাকা থেকে ১৬ টাকা করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি টন সার উৎপাদনে প্রায় ৩৬ হাজার টাকা ব্যয় হলেও বিক্রি করা হয় ২৫ হাজার টাকায়। অর্থাৎ প্রতি টনে কোম্পানিকে লোকসান গুনতে হয় ১১ হাজার টাকা। সার বিক্রির ভর্তুকির টাকা কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বয় করার চেষ্টা করে যাচ্ছে শিল্প মন্ত্রণালয়।
এদিকে, প্রায় পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর অনেকটা অলৌকিকভাবে গত ৬ আগস্ট থেকে পুণরায় সারকারখানাটি সীমিত পরিসরে উৎপাদনে যায়। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন থেকে জালালাবাদ গ্যাস সীমিত পরিসরে গ্যাস সরবরাহ শুরু করায় চাকা ঘুরে কারখানার।
এ প্রসঙ্গে শাহজালাল ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) গোপাল চন্দ্র ঘোষ জানান, গ্যাস সংকটের কারণে কারখানাটিতে সার উৎপাদন বন্ধ ছিল। শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ৬ আগস্ট থেকে সীমিত পরিসরে উৎপাদন শুরু হয়েছে। এখনো চাহিদামাফিক গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে না। তাই সরবরাহকৃত গ্যাসের উপরই নির্ভর করছে উৎপাদন।
গোপাল চন্দ্র ঘোষ আরও জানান, এখনো বকেয়া গ্যাস বিল পরিশোধ হয়নি। কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাথে ভর্তুকির টাকা সমন্বয়ের চেষ্টা চলছে। সমস্যা সমাধানে আন্তঃমন্ত্রণালয় কাজ করছে। এছাড়া কারখানাটিতে কিছু ‘টেকনিক্যাল প্রবলেম’ রয়েছে। পুরোদমে উৎপাদনে যেতে হলে সেগুলোও সারাতে হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে শাহজালাল সারকারখানার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩ লাখ ৮০ হাজার টন। কিন্তু ১৩ মার্চ বন্ধ হওয়ার আগ পর্যন্ত কারখানাটিতে উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টন ইউরিয়া।
[hupso]