» ১৩ নভেম্বর আতঙ্কিত দেশের মানুষ।

প্রকাশিত: ১৩. নভেম্বর. ২০২৫ | বৃহস্পতিবার

সারা দেশেরন্যায়  সিলেট   জুড়েও চলছে ব্যাপক ধরপাকড়। জনমনে বিরাজ করছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা।  শঙ্কিতও শহর অঞ্চলের মানুষজন।বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ কয়েকজন আসামির বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণাকে কেন্দ্র করে -ধর পাকড় চলছে । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কার্যক্রম স্থগিত হওয়া রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ঢাকা লকডাউন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।ব্যাপক প্রচারের কারণে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে দেশ জুড়ে। লকডাউন    এই ঘোষণার পরপরই সারা দেশেরন্যায় সিলেটেও নাশকতার আশঙ্কায় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনসমুহের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলছে ব্যাপক ধর-পাকড়।

গত কয়েকদিন ধরে সিলেট মহানগরসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী ঘরানার অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীদের আটক ও গ্রেপ্তার চলছে। গত দুইদিনে ২০জনের বেশি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন।

যদিও সিলেটে  আওয়ামীলীগ বা    তার অঙ্গ সংগঠন   মিছিল মিটিং বা পিকেটিংয়ের     তেমন কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

এরমধ্যে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুরে মশাল মিছিল বের করতে গিয় পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের দুই কর্মী।

সিলেট মহানগর পুলিশসহ সতর্ক অবস্থায় আছে জেলা পুলিশও। বিভিন্ন থানাপুলিশ যেকোনো ধরনের নাশকতা ঠেকাতে কঠোর ভূমিকায় আছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, সিলেট রেলওয়ে স্টেশন, ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

 এমন পরিস্থিতি জনমনে বিরাজ করছে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা। এদিকে সিলেট বেশ কিছু কোম্পানীর দূর পাল্লার বাস চলাচল বন্ধ রেখেছে
বিলাস পরিবহনের কোনো বাস আজ সিলেট থেকে ছেড়ে যায়নি। অন্যান্য বাস রাত দশটার মধ্যে ছেড়ে যাচ্ছে যাহাতে খুব ভোরে ঢাকায় ঢুকতে পারে। দিনের পরিস্থিতি ভেবেই এরকম সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে বলে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
এদিকে নগরীর জিন্দাবাজার এলাকার একাধিক ব্যবসায়ীর সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, মার্কেট বিপণীবিতান বা ছোটোখাটো দোকানগুলোর ব্যবসায়ীর মারাত্মক দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগছেন। ১৩ নভেম্বর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবেন কি না, এ নিয়েই তাদের মানসিক দ্ব›দ্ব চলছে, যদিও এখন পর্যন্ত সিলেট মহানগরী বা জেলার অন্য কোথাও তেমন কোনো নাশকতা বা অঘটনের সংবাদ পাওয়া যায়নি।
এদিকে বুধবার (১২ নভেম্বর) অন্যান্য বুধবার থেকে কিছুটা হলেও নগরীতে যানবাহনের সংখ্যা কম দেখা গেছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর থেকে নগরীর জিন্দাবাজার, বন্দরবাজার বা আম্বরখানার মতো গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ত এলাকা ছিল অনেকটাই ফাঁকা /

[hupso]