সর্বশেষ

» ঠাঁই নাই ঠাঁই নাই পর্যটকে টাঁসা

প্রকাশিত: ৩০. সেপ্টেম্বর. ২০২৩ | শনিবার

হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজার প্রাঙ্গনে হাজারো নারী-পুরুষের ঢল। তবে তাদের কেউই শুধু মাজার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আসেননি সেখানে। টানা তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে বেড়াতে এসে হোটেলে রুম না পেয়ে আশ্রয় নিয়েছেন মাজার প্রাঙ্গনে। রাত কাটিয়েছেন সেখানেই। শুধু মাজার প্রাঙ্গন নয়, সিলেট নগরীর প্রায় সবকটি হোটেলের সামনেও ছিল পর্যটকদের ভিড়। রুম না পেয়ে কেউ রাত কাটিয়েছেন হোটেলের রিসিপশনে, আর কেউ হোটেলের সিঁড়িতে। কোথাও যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। করোনা পরবর্তী সময়ে এক সাথে এতো পর্যটক একসাথে সিলেটে আসেননি বলে জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। তিনদিনের ছুটিতে সিলেটে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম হওয়ায় আবাসনের পাশাপাশি পরিবহন সংকটও দেখা দিয়েছে। বাড়তি ভাড়ায় পর্যটকদের পৌঁছাতে হয়েছে গন্তব্যে।

তিনদিনের ছুটিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে সিলেটে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করে। যাদের অগ্রিম হোটেল বুকিং ছিল না, তারা সিলেটে নেমেই পড়েন হোটেল সংকটে। এক হোটেল থেকে আরেক হোটেলে ছুটতে থাকেন, কিন্তু বেশিরভাগ হোটেলই আগে থেকে পূর্ণ বুকিং থাকায় তাদেরকে পড়তে হয় বিপাকে। উপায়ান্তর না পেয়ে হাজারো পর্যটক হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে আশ্রয় নেন। মাজারের সামনের আঙ্গিনায় বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাত কাটান হাজারো পর্যটক। এছাড়া রুম না পেয়ে অনেককে পরিবার নিয়ে হোটেলের রিসিপশন ও বারান্দায় আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। কেউ কেউ আবার গাড়িতে রাত কাটিয়েছেন।গত দুদিন সিলেটের জাফলং, লালাখাল, শ্রীপুর, সাদাপাথর, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, পান্তুমাইসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ছিল উপচেপড়া ভিড়। প্রতিটি স্পটে হাজার হাজার পর্যটক ভিড় করেন। একসাথে বিপুল সংখ্যক পর্যটক সমাগম হওয়ায় পরিবহন সংকটও দেখা দেয়। এই সুযোগে পরিবহন মালিকরাও ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আগে জাফলং যাওয়া ও আসার ভাড়া তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা হলেও গত দুইদিন মাইক্রোবাস চালকরা সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে বাড়তি নৌকা ভাড়া আদায়েরও অভিযোগ করেছেন অনেক পর্যটক।

[hupso]