- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
- আজ সিলেট মুক্ত দিবস
» সিলেটে ৫ মানবপাচারকারীর কারাদন্ড
প্রকাশিত: ০৩. অক্টোবর. ২০২৩ | মঙ্গলবার
সিলেটে পাঁচ মানব পাচারকারিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে সিলেট মানব পাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার চারিগ্রামের আব্দুল মালিকের ছেলে শাহিন আহমদ (৫০), মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার চর জানাজাত সামাদখাঁরকান্দি গ্রামের আবদুল আজিজ বেপারির ছেলে নূর মোহাম্মদ (৩৪), একই থানার দক্ষিণ বাঁশকান্দি গ্রামের আতাহার রহমান হাওলাদারের ছেলে আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার করিম (৩৬), ঝালকাঠি জেলার সদর থানার ধারাখানা (খানবাড়ি) গ্রামের মৃত আফতাব উদ্দিন খাঁনের ছেলে মাহাতাব উদ্দিন জসিম খাঁন (৪৭) ও তার ভাই শামীম খাঁন (৩২)।
তাদের মধ্যে শাহিনকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, নূর মোহম্মদকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আব্দুল কুদ্দুস হাওলাদার করিমকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, জসিম খাঁনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও শামীম খাঁনকে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
আসামিদের মধ্যে নূর মোহাম্মদ, আব্দুল কুদ্দুস ও জসিম খাঁন পলাতক রয়েছেন। বাকি দুজন রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্র জানায়, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মহররম আলী তেরা মিয়ার ছেলে আব্দুস শুক্কুরকে (৩০) ২০১৮ সালে স্বল্প টাকায় স্পেন পাঠানোর প্রলোভন দেখান আসামিরা। প্রথমে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে আসামিরা শুক্কুরকে লিবিয়ায় পাঠান। সেখানে আটকে রেখে তাকে নির্যাতন করে পরিবারের কাছ থেকে দুই বারে ৮ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেন আসামিরা। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও শুক্কুরকে আসামিরা স্পেনে পাঠাননি। একপর্যায়ে তাকে লিবিয়ার পুলিশ গ্রেফতার করে সে দেশের কারাগারে পাঠায়।
প্রায় দুই মাস লিবিয়ায় কারাবাসের পর বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় শুক্কুর বাড়ি ফেরেন। এ ঘটনায় ২০১৮ সালের অক্টোবরে শুক্কুরের বড় ভাই আব্দুল জব্বার বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার সকল প্রক্রিয়া শেষে বুধবার আদালত আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে দণ্ডিত করেন।
[hupso]