- সিলেটে পুলিশের ৩ পদে অদল-বদল
- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
- মারা গেছেন মুনতাহার খুনি মার্জিয়ার নানী
- সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কে ট্রাক-চাপায় একজন নিহত
» মৌলভীবাজার জুড়িতে পুলিশকে মৃত ব্যক্তির হামলা
প্রকাশিত: ০৮. অক্টোবর. ২০২৩ | রবিবার
জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামি
জামায়াতের মিছিলে অংশ নেন ‘মৃত ব্যক্তি’, ঢিল ছুড়েন পুলিশকে লক্ষ্য করে!
জুড়ীতে পুলিশের মামলায় মৃত ও প্রবাসীরা আসামি
২০১৭ সালের ৪ আগস্ট ক্যান্সারে মারা যান মৌলভীবাজারের জায়ফরনগর ইউনিয়নের হাসনাবাদ গ্রামের রুমুজ আলীর ছেলে লোকমান হোসেন।
তবে পুলিশের দাবি, গত ৫ অক্টোবর জামায়াতের একটি মিছিলে অংশ নিয়ে নাশকতা চালিয়েছেন লোকমান।
পুলিশ বাদী হয়ে জুড়ী থানায় করা একটি নাশকতা মামলায় আসামি করা হয়েছে লোকমানকে, যিনি ছয় বছর আগেই মারা গেছেন।
জানা যায়, সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে মিছিল করে জামায়াতে ইসলামী। মিছিলের পরদিন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর ২৮ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন জুড়ী থানার এসআই খসরুল আলম বাদল। এ মামলায় অজ্ঞাত আরো ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।
নাশকতার এ মামলায় আসামিদের মধ্যে মৃত ব্যক্তি ছাড়াও কয়েকজন প্রবাসীর নামও রয়েছে।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা জনসাধারণের যান চলাচল বন্ধ ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার জন্য উত্তেজিত হয়ে রাস্তায় মিছিল বের করলে পুলিশ তাতে বাঁধা দেয়। পুলিশের বাঁধা অমান্য করে তারা মিছিল শুরু করেন। পরে নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুড়ে সরকারি কাজে বাধা দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১১ নম্বর আসামি করা হয়েছে মৃত লোকমান হোসেনকে।
এ মামলায় ৬ নম্বর আসামি করা হয়েছে জায়েদ আহমদকে। তিনি সাত বছর ধরে সৌদি আরবে রয়েছেন। জায়েদ আহমদ উপজেলার হামিদপুর গ্রামের মৃত ফয়জুল্লাহর ছেলে।
উপজেলার ফুলতলা ইউনিয়নের রজব উদ্দিনের ছেলে বুরহান উদ্দিন দুই বছর থেকে আরব আমিরাতে অবস্থান করছেন। মামলায় বুরহানকে ২৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ফুলতলা বাজারের ইব্রাহিম আলীর ছেলে নাঈম উদ্দিন আট বছর আগে কাতার যান। সেখান থেকে তিনি এখন পর্তুগালে অবস্থান করছেন। তাকেও পুলিশের করা ওই মামলায় ২৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
মামলার ১১ নম্বর আসামি মৃত লোকমান হোসেনের বড় ভাই মাহতাব আহমদ বলেন, ‘আমার ভাই লোকমান ৬ বছর দুই মাস আগে ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আমার ভাই কবর থেকে উঠে কীভাবে মিছিলে অংশ নিল?
তিনি বলেন, ‘মৃত ব্যক্তির নামে যদি মামলা হয়, তাহলে আমরা যারা জীবিত আছি- তাদের উপর কি ধরনের অত্যাচার চলে একবার আপনারা ভেবে দেখুন।’
[hupso]