- শফিক চৌধুরীকে ইসির তলব
- ধনসম্পদ বেড়েছে মোমেন – ইমরানের, কমেছে নাহিদের
- সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনে ১৪ জনের প্রার্থিতা বাতিল, বৈধ ৩১
- নির্বাচন করার মনোবল নেই রতনের যেকোনো সময় ছাড়তে পারেন মাঠ
- অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনে সকলের সহযোগীতা চাইলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
- সিলেটে ১৯ আসনে ১৫৫ জন প্রার্থী
- সিলেট-২ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন সফিক চৌধুরী
- কুলাউড়া- কমলগঞ্জে লড়াইয়ের আভাস
- প্রতিটি জেলে ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ কয়েদি
- সিলেট-১ মনোনয়নপত্র জমা দিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী
» ভারতীয় পুলিশে বাড়ছে ভয়ংকর হিংস্রতা, মুসলিম বিদ্বেষ
প্রকাশিত: ২১. অক্টোবর. ২০২৩ | শনিবার

বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লীগের ১৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। শুক্রবার বেঙ্গালুরুর এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে বাবর-রিজওয়ানদের অনুপ্রাণিত করতে ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ হর্ষধ্বনি দিচ্ছিলেন পাকিস্তানি এক ক্রিকেট ভক্ত। এতে বাধ সাধেন গ্যালারিতে দায়িত্বরত এক ভারতীয় পুলিশ সদস্য। পাকিস্তানের নামে কোনো স্লোগান দিতে নিষেধ করেন তিনি।
পাকিস্তানি ইউটিউবার মমিন সাকিবের টুইটারে পোস্টকৃত ভিডিওতে দেখা যায়, এম. চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে এক পাকিস্তানি দর্শক ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ স্লোগান দিলে তাকে গিয়ে থামিয়ে দেন এক পুলিশ সদস্য। এতে সেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যকে সেই সমর্থক বলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় বলতে পারলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলা যাবে না কেন?’
তখন সেই পুলিশ সদস্য বলেন, ‘ভারত মাতা কি জয় ভালো, কিন্তু পাকিস্তান জিন্দাবাদ ভালো না।’ প্রত্যুত্তরে সেই সমর্থক বলেন, ‘কেন নয়? পাকিস্তান থেকে এসেছি, পাকিস্তান খেলছে, তাহলে পাকিস্তান জিন্দাবাদ না বলে কী বলব?’ এরপর সেই সমর্থক ফোন বের করে বলেন, ‘আমি একটি ভিডিও বানাব। আপনি আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে বলেন যে আমি পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে পারব না।’ এরপর আর কোনো উত্তর দেননি সেই পুলিশ সদস্য।
মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যাওয়া ভিডিওটিতে অনেক প্রতিক্রিয়া দেখান নেটিজেনরা। বিক্রম গুপ্ত নামের এক ভারতীয় লেখেন, ‘নিজ দেশের দলকে সমর্থন করার অধিকার সকলের রয়েছে।’ একজন লিখেছেন, ‘আমি একজন ভারতীয়। কিন্তু এটা একেবারেই ঠিক হয়নি।’ আরেকজন লিখেন, ‘একজন ভারতীয় হিসেবে এই ধরনের আচরণে আমি হতাশ।’
নেতিবাচক প্রতিক্রিয়াও দেখিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেট সমর্থকরা। একজন লিখেছেন, ‘কিসের জন্য পাকিস্তান জিন্দাবাদ? যে দেশ নিয়মিত আমাদের আক্রমণ করছে, সেই দেশের নাগরিকরা আমাদের এখানে এসে কীভাবে এটা বলতে পারে?’ একে চৌধুরী নামের একজন ভারতীয় লিখেন, ‘সন্ত্রাসবাদ এবং ক্রিকেট একইসঙ্গে চলতে পারে না।
সন্ত্রাসী দেশের জিন্দাবাদ আমাদের দেশে আমরা সহ্য করবো না। ওয়েল ডান, পুলিশম্যান!’ ভিপিন মিশরা নামের একজন কৌতুক করে লিখেন, ‘ম্যাচ হারার পর কান্না শুরু হয়ে গেলো যে, পাকিস্তান জিন্দাবাদ বলতে না দেয়ায় আমরা হেরে গেছি।’
[hupso]