» বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক, অহিংস নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া

প্রকাশিত: ২৮. অক্টোবর. ২০২৩ | শনিবার

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অহিংসভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ার জন্য ধারাবাহিকভাবে কথা বলছে অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশের মন্ত্রীবর্গ, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন সহ সংশ্লিষ্ট সকল স্থানে দেশটি এ বিষয়টি তুলে ধরেছে। বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) অস্ট্রেলিয়ার সিনেটে দেশটির প্রভাবশালী সিনেটর ডেভিড শুব্রিজের এক প্রশ্নের জবাবে একথা জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রথম সহকারী সচিব (প্রধান) গ্যারি কেওয়েন।ওইদিন ডেভিড শুব্রিজের প্রথম প্রশ্নটি ছিলঃ বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন স্বচ্ছ, অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না এমন ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ কেবল যুক্তরাষ্ট্রই নয়, অনেক দেশের সরকারই  উত্থাপন করেছে; তারা এ নিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন (বক্তব্য) উপস্থাপন করেছে। এ বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ান সরকার কী উপস্থাপন করেছে?

জবাবে অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া গ্রুপের ডেপুটি সেক্রেটারি এবং দেশটির বৈদেশিক বিষয় ও বাণিজ্য বিভাগের দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অফিসের প্রধান মিশেল চ্যান জানান, তারা এ বিষয়ে নিয়মিতভাবে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পক্ষে কথা বলেছেন।

এরপর গ্যারি কেওয়েন জানান, এটা দুভাবে করা হয়েছেঃ প্রথমত, গণতন্ত্রের স্তম্ভ হিসেবে মত প্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষা করার কথা বলা। দ্বিতীয়ত, অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং অহিংস নির্বাচনের বিষয়ে নিয়মিতভাবে কথা বলা।

তিনি বলেন, আমরা (বাংলাদেশের) মন্ত্রীবর্গ এবং ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তাদের নিকট বিষয়টি তুলে ধরেছি। আমরা অন্যান্য দেশের সাথে উপযুক্ত ক্ষেত্রে বিবৃতি প্রদান যুক্ত হয়েছি। আমরা ক্যানবেরা (অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী)তে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথেও (এ বিষয়ে) যুক্ত হয়েছি। উদাহরণস্বরূপঃ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিবের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছি। আমরা আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রীর সাথে এ নিয়ে কথা বলেছি। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবেরর সাথেও কথা বলেছি।গত মে মাসে বাংলাদেশে নিজ সফরে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিম ওয়াটসও এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমাদের নিয়মিত আলাপচারিতায়ও বিষয়টি আমরা তুলে ধরেছি। ক্যানবেরায় বিভিন্ন সময়ে আমরা বিষয়টি তুলেছি।

ডেভিড শুব্রিজ তখন প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশ সফরকালে সহকারী মন্ত্রী ওয়াটস কি বিরোধী দলের (নেতাকর্মীদের) ব্যাপকভাবে গ্রেফতার এবং তাদের উপর সরকারি কর্মকর্তা ও অন্যান্য সংস্থার সহিংসতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন? এগুলো কি ওয়াটস সোজাসাপ্টাভাবে উত্থাপন করেছেন?

জবাবে গ্যারি কেওয়েন বলেন, ওয়াটসের সফরে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়টি উঠে এসেছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে বলে আসছি যে, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও অহিংস হওয়া উচিত।

[hupso]