- সুনামগঞ্জে মামলা আলোচনার ভিত্তিতে আপসরফা
- আজহারীর মাহফিলের পর একটি চুরি ও ২৫ জিডি করা হয়েছে
- শাবি’র ২৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- সিলেটে ৫৪ বছর পর সন্ধান মিললো পাঁচ শহীদের
- মেয়ের সম্ভ্রমহানি, খবর শুনে মা রা গেলেন বাবা
- বিশ্বনাথ ছাত্রলীগের ২২ নেতা কর্মীর আদালতে আত্মসমর্পণ ৬ জন জেল হাজতে
- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের নতুন সভাপতি মঈন উদ্দিন, সেক্রেটারি নাসির
- আল্লামা বালাউটি রহ ৫ম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন |
- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
» বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে নিয়ে সিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
প্রকাশিত: ১৭. নভেম্বর. ২০২৩ | শুক্রবার
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিজ হাতে গুলি করে খুন করা এসএইচএমবি নূর চৌধুরীকে নিয়ে বিশদ একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রচার করতে যাচ্ছে কানাডিয়ান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিবিসি। যে প্রতিবেদনে প্রথমবারের মতো আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীর দেখা মিলবে। জানা যাবে, এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তার ভাষ্যও।
সিবিসি টেলিভিশিনের সর্বাধিক জনপ্রিয় অনুসন্ধানী বিভাগ ‘দ্যা ফিফথ স্টেট’ এ ‘দ্যা এসাসিন নেক্সট ডোর’ শিরোনামের ৪২ মিনিটের এই প্রতিবেদনটি প্রচারিত হবে আগামী শনিবার (বাংলাদেশ সময়) সকাল ৮টায়।
টেলিভিশনটির অনুসন্ধানী সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে প্রায় দেড় মিনিটের একটি ট্রেইলারও প্রকাশ করেছেন তিনি। যেখানে, টরন্টোর নিজ ফ্লাটের ব্যালকনীতে নূর চৌধুরীকে এক ঝলক দেখা গেছে। শোনা গেছে তার কণ্ঠও। আত্মগোপনে থাকা নূর চৌধুরীকে দীর্ঘদিন অনুসরণ করে খুঁজে বের করেছে ফিফথ স্টেটের অনুসন্ধানী দলটি।
ফেসবুক পোস্টে সাংবাদিক আবদুল্লাহ আল ইমরান লিখেছেন, ‘গত ৭ মাস আমরা ছুটে বেরিয়েছি অটোয়া থেকে টরন্টো, টরন্টো থেকে ঢাকা। পড়েছি শত শত কোর্ট ডকুমেন্টস। জোগাড় করেছি দুই দেশের গোপন নথি। জানতে ও বুঝতে চেষ্টা করেছি, নূরকে বাংলাদেশের আইনের মুখোমুখি করতে না পারার দায় কি শুধু কানাডা সরকারের পলিসির, নাকি আরও অন্য কিছু আছে?’
বঙ্গবন্ধুকে নিজ হাতে গুলি করে হত্যার পর কূটনীতিক হিসেবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দায়িত্ব পালন করেন নূর চৌধুরী। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এলে তিনি পালিয়ে প্রথমে আমেরিকা, পরে কানাডায় ঢোকেন দর্শনার্থী হিসেবে। এরপর ১৯৯৯ সালে শরণার্থী হিসেবে থেকে যাওয়ার আবেদন করলেও কানাডা সরকার তা নাকচ করে দেয়। আপিল করেও হেরে যান নূর চৌধুরী। ২০০৯ সালে তাকে কানাডা থেকে নূরকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কানাডিয়ান সর্বোচ্চ আদালত।
কিন্তু বাংলাদেশে পাঠালে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে পারে— এমন শঙ্কার কথা জানিয়ে ২০১০ সালের দিকে সরকারের কাছে ‘প্রি রিমুভাল রিস্ক এসেসমেন্ট’র আবেদন করেন নূর চৌধুরী। যেহেতু কানাডা মৃত্যুদণ্ড সমর্থন করে না, সেহেতু এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রায় ১৪ বছর ধরে কানাডায় মুক্ত জীবন যাপন করছেন তিনি।
নূর চৌধুরী কোথায় আছেন, কি করছেন, এ নিয়ে সঠিক তথ্য না থাকায় সকলেই দীর্ঘদিন ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এই রিপোর্ট প্রচারের মধ্য দিয়ে সেই ধোঁয়াশা কেটে যাবে এবং কানাডিয়ান সাধারণ জনগণ তাদের পাশের বাসায় থাকা ভয়ানক এই খুনি সম্পর্কে পরিষ্কার একটি ধারণা পাবে।