- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
- আজ সিলেট মুক্ত দিবস
» স্বেচ্ছাসেবক লীগর সদ্য সাবেক নেতা ধর্ষক সালামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
প্রকাশিত: ০২. এপ্রিল. ২০২৪ | মঙ্গলবার
সিলেটে তরুণীকে বাসায় আটকে রেখে গণধর্ষণ মামলার আসামী আব্দুস সালামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সোমবার দিবাগত রাত সোয়া ২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে গোলাপগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে র্যাব-৯ এর সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক প্রেসব্রিফিংয়ে অধিনায়ক উয়িং কমান্ডার মো. মোমিনুল হক এসব তথ্য জানান।
এদিকে র্যাবের গণমাধ্যম শাখা জানায়, ভালো কাজ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জনৈক রেখা বেগম অষ্টাদশি ওই তরুণীকে আব্দুস সালামের বাসায় নিয়ে যায়। সালাম তাকে বাসায় আটকে রেখে টানা ২২ দিন ধর্ষণ করেন।
তরুণীর অভিভাবকরা মেয়েটির কোনো সন্ধান না পেয়ে থানায় জিডি করতে চাইলে আব্দুস সালাম বাধা দেন এবং তাকে খুঁজে দেয়ার আশ্বাস দেন।
এক পর্যায়ে সালাম মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের জানান যে, তাকে এক ইংল্যান্ড প্রবাসীর বাসা থেকে উদ্ধারের করা হয়েছে। পরে ওই তরুণী সালাম কর্তৃক ধর্ষণের কথা জানালে তিনি বিষয়টি ধামাচাপা দিতে বিয়ে ও ভালো চাকরির প্রলোভন দেখান। উদ্ধারের ৩দিন পর ভালো চাকরি ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে বের করে নিয়ে যায় এবং আব্দুল মনাফের (৩০) মাধ্যমে হবিগঞ্জের বাহুবলের একটি বাড়িতে দীর্ঘ ২ মাস আটকে রেখে বিভিন্ন সময়ে সালাম ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মেয়েটিকে ধর্ষণ করে। গত ২৬ মার্চ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তাকের উদ্ধার করে অসুস্থ অবস্থায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালী মডেল থানায় গণধর্ষণ মামলা দায়ের করেন (নং ৫৭/১৭৫/ ২৯/০৩/২৪)।
এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে এবং আব্দুস সালামের নামে মামলা হওয়ার সাথে সাথে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় শুরু হয়ে। বিশেষ করে সরকারি দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোতে এ নিয়ে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা ও কানঘুঁষা।
এক পর্যায়ে রোববার রাতে সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক জরুরী সভায় সালামকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং তা কার্যকর করা হয়। একই সাথে সালামের নেতৃত্বাধীন সিলেট সিটি করর্পোরেশনের ১১নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেক লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।
[hupso]