- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
- মারা গেছেন মুনতাহার খুনি মার্জিয়ার নানী
- সিলেট এয়ারপোর্ট সড়কে ট্রাক-চাপায় একজন নিহত
- সিলেটে ‘মৃ্ত ব্যক্তি থানায় হাজির, স্ত্রী লাপাত্তা
» সিলেটে রমজান জুড়ে পানি সরবরাহে বিঘ্ন দুর্ভোগের শেষ নেই
প্রকাশিত: ০৭. এপ্রিল. ২০২৪ | রবিবার
ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্নতায় নানামুখী সমস্যায় পড়েছেন নাগরিকরা। বিশেষ করে নগরীর সর্বত্র এখন বিদ্যুৎ ও পানির জন্য হাহাকার চলছে। চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎ সরবরাহ হওয়ায় সিলেটে হচ্ছে ঘন ঘন লোডশেডিং। যার ফলে গ্রাহকদের পানি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে। বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ এবং সিটি করপোরেশনের মধ্যে সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করছেন অনেকে। জানা গেছে সিটির বেশিরভাগ এলাকায় সিটি করপোরেশন পানি সরবরাহ করে সকালে সাতটা থেকে দশটা পর্যন্ত এই সময়টা লোডশেডিংয়ের বাইরে রাখলেই সমস্যার ৯০ ভাগ সমস্যা কমে আসবে। পিক আওয়ারে যেসব এলাকায় পানি সরবরাহ করা হয় সেসময় লোডশেডিং মর্নিং আওয়ারের দিকে করা যেতে পারে বলে নাগরিক সমাজ মনে করেন। এদিকে
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুতের কারণে সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছে না।
রমজানের মতো পবিত্র মাসে ইফতার ও সেহরীর সময়ও বিদ্যুৎ বঞ্চিত থাকতে হচ্ছে ধর্মপ্রাণ রোজাদারদের । দিনে গড়ে ১৬ ঘন্টাও মিলছেনা বিদ্যুৎ। ৬ থেকে ৮ ঘন্টা বিদ্যুৎহীন থাকছে অনেক এলাকা। ফলে নগরজুড়ে পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। মহানগরে গরমের মাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিদ্যুতের লোডশেডিং ও পানির সঙ্কট তীব্র হচ্ছে।
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেটে বিদ্যুতের চাহিদার অর্ধেকও পূরণ করতে পারছে না। এতে নগরবাসীর মধ্যে বিদ্যুৎ ও পানির চরম হাহাকার সৃষ্টি হয়েছে। এ সঙ্কট নিরসনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই। বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে নগরবাসী।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলী আকবর জানান, নগরীতে প্রতিদিন পানির চাহিদা প্রায় ১০ কোটি লিটার। মহানগরে চাহিদার পুরোটাই পানি উত্তোলন করা সম্ভব হলেও বিদ্যুৎ বিড়ম্বনার কারণে নগরীতে পানি সরবরাহ কঠিন হয়ে দাঁড়য়েছে। একটি এলাকায় এক থেকে দেড় ঘন্টা পানি সরবরাহ হয়। এই সময়ের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে গেলে ঐ এলাকায় ফের পানি সরবরাহ বন্ধ থাকে। বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমানে চাহিদা অনুযায়ী পানি সরবরাহ করা সম্ভব হচ্ছেনা।
তিনি আরও জানান, পাম্প চালুর একটু পরে বিদ্যুত চলে গেলে আবার ঐ এলাকায় পানি সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা কঠিন হয়ে যায়। তার উপর অনেকে লাইনে মটর বসিয়ে পানি উত্তলন করেন। যার ফলে সাধারণ গ্রাহকরা পানি পান না। আমরা প্রায়ই অভিযান পরিচালনা করে মটর জব্দ করছি। তাবে এ বিষয়ে মহানগরবাসীকে সচেতন হবে হবে।
[hupso]