সর্বশেষ

» দিরাইয়ে খরচের তুলনায় ধানের দাম কম,লোকসানে কৃষক

প্রকাশিত: ০৮. মে. ২০২৪ | বুধবার

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে একমাত্র কৃষি ফসল বোরোধান কাটা শেষ হয়েছে। ধান ও গবাদিপশুর খাদ্য তোলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক। প্রখর রোদে পুড়ে ধান শুকানোর পাশাপাশি গবাদিপশুর খাদ্য খড় সংগ্রহে দিনরাত ব্যস্ত হাওরের কৃষক পরিবারের লোকজন।

এ বছরে বোরো মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন পেয়েও তাদের মুখে নেই আনন্দের হাসি। ফলন ভালো হলেও সার, কীটনাশক, ধান কাটা শ্রমিকসহ অন্যান্য খাতে অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হয়েছে। খরচের তুলনায় ধানের দাম কম। ফলে ধানের দাম না বাড়লে লাভ তো দূরের কথা-এ দামে উৎপাদন খরচ উঠবে কি না তা নিয়ে এখন শঙ্কায় কৃষক। ইতোমধ্যে অনেক কৃষক সুদী মহাজন ও বিভিন্ন এনজিওর টাকা পরিশোধ করতে বাজার দর সাড়ে ৮ শত – টাকায় ধান বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।এতে কৃষকরা লোকসানে পড়ছেন।

উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নের ১৬টি হাওর ঘুরে দেখা গেছে, ধান কাটা শেষ, রোদে শুকিয়ে ধান ঘরে তোলার পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য খড় তোলায় ব্যস্ত কৃষকরা। প্রচন্ড তাপদাহ উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন। ভোর থেকে রাত পর্যন্ত মাঠেই ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

উপজেলা কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৩০ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ইতোমধ্যে হাওরের শতভাগ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে, চলছে ধান শুকানো ও গবাদিপশুর জন্য খড় সংগ্রহের কাজ।

নয় ইউনিয়নের অসংখ্য কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে প্রতি বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ সেই তুলনায় ধানের মূল্য পাচ্ছেন না তারা।

উপজেলা খাদ্য গুদামের ওসি এলএসডি মফিজুর ইসলাম জানান, এবারে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৮০ টাকা। ৭ মে আবেদনের উদ্বোধন ১৬ মে শেষ ও ১৭ মে থেকে ক্রয় শুরু হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনোরঞ্জন অধিকারী জানান, এবার আবহাওয়া বোরো ধান চাষের উপযোগী ছিল। উপজেলায় হাওর ও নন-হাওরের ৯৯ দশমিক ১০ ভাগ জমি কর্তন শেষ হয়েছে।

[hupso]