- জুতা চোরদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে
- জকিগঞ্জ এক হাজার পিস ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
- সিলেটে ইবনে সিনা হাসপাতালের ডিজিটাল বোর্ডে ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
- অবিস্মরণীয় উদ্যোগ: বিমান ভাড়া কমেছে ৭৫ ভাগ
- এদেশে ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনের আর কোন সুযোগ দেয়া হবেনা: মিয়া গোলাম পরওয়ার
- সিলেটের বিশ্বনাথে ৬’বছরের শিশু ধর্ষণকারী আটক
- কিসের ইফতার কিসের কি একে অপরকে ঘায়েল করতে উন্মাদ দু’গ্রামবাসী
- চিকিৎসা সেবা ব্যাহত: কমপ্লিট শাট ডাউনে ইন্টার্নরা
- ওরা ধর্ষক
- শাহ আরেফিন টিলায় কবরস্থান থেকে পাথর উত্তোলন করা নিয়ে ব্যাপক সংঘর্ষ
» মার্কিন নারী ৩০০ টাকার স্বর্ণ কিনলেন ৬ কোটি টাকা দিয়ে
প্রকাশিত: ০২. জুলাই. ২০২৪ | মঙ্গলবার

২ বছর আগে ভারতে এসে রাজস্থানের এক ব্যবসায়ীর থেকে গয়না কিনেছিলেন মার্কিন মুলুকের বাসিন্দা চেরিস নরতেজ। ওই ব্যবসায়ী তাকে হলমার্ক সার্টিফিকেটও দিয়েছিল। মোট ৬ কোটি টাকার গয়না মার্কিন মুলুকে নিয়ে গিয়েছিলেন চেরিস। এতদিন ধরে সব ঠিক ছিল। চেরিসকে মাথায় হাত তখন দিতে হল যখন তিনি এই গয়নাগুলি নিয়ে একটি এক্সিবিশন করলেন। জানা গেল, একটিও গয়না আসল নয়, বরং এর মার্কেট ভ্যালু মেরেকেটে ৩০০ টাকা হবে! তারপরই চেরিস সোজা উড়ে এসেছেন ভারতে। ভারতের মাটিতে পা দিয়েই চেরিস চলে যান জয়পুরের ওই সোনার দোকানে। যদিও দোকানের মালিক গৌরব সোনি কোনও অভিযোগই মানতে চায়নি। প্রতারিত ওই মার্কিন নারী সাহায্য চেয়েছেন স্থানীয় পুলিশের কাছে, এমনকি মার্কিন দূতাবাসেও। রাজস্থানের পুলিশ জানাচ্ছে, যে দোকানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে সেটি বাবা আর ছেলে মিলে চালান।অভিযোগ পেয়ে দোকানে গেলে অবশ্য তাদের কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি। এমনকি বাড়িতেও নেই তারা। পুলিশের অনুমান দুজনেই পালিয়ে গেছে।
২০২২ সালে ইনস্টাগ্রামে তার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল জোহরি বাজারের গয়না ব্যবসায়ী গৌরব সোনির। গৌরব ও তার বাবা রাজেন্দ্র সোনি কৃত্রিম গয়নার ব্যবসা করেন। রুপোর তৈরি গয়নার উপর সোনার পালিশ করে বিক্রি করেন। কিন্তু, তা বুঝতে পারেননি চেরিস। গত দুই বছর ধরে একের পর এক কৃত্রিম অলঙ্কার কিনেছেন, দাম দিয়েছেন আসল সোনার গয়নার। এই ভাবে সোনিদের তিনি প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। হয়ত আরও বহু টাকা বেরিয়ে যেত তার। কিন্তু, চলতি বছরের এপ্রিলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রদর্শনীই তাকে আরও ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে।
বর্তমানে পলাতক গৌরবের স্ত্রী রজনীও। স্ত্রীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এই প্রতারণার অর্থের একটা বড় অংশ স্থানান্তর করেছেন তিনি। জয়পুর পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই দুই ব্যক্তিকে খুঁজে বের করতে বিশেষ এক দল গঠন করা হয়েছে।”
ইতিমধ্যে, নন্দ কিশোর নামে এক ব্যক্তিকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে। আর এই ঘটনায় বদনাম হচ্ছে ভারতের।
সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে
[hupso]