» সিলেটে গরমে অতিষ্ঠ জন জীবন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজি

প্রকাশিত: ০৭. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | শনিবার

প্রচন্ড গরম আর বিদ্যুতের ভেলকি বাজীতে চরম অবস্থা। এদিকে প্রতিদিনই সিলেটে থাকে বৃষ্টির পূর্বাভাস,কিন্তু বৃষ্টি আর হয়না, যাও একটু আধটু হয়ও মাঝে-মধ্যে কিন্তু এমন হালকা বৃষ্টি সিলেটবাসীকে দিতে পারছে না স্বস্তি, ৩-৪ দিন ধরে ভাদ্রের তীব্র খরতাপে পুড়ছে সিলেট।

 
রোদে বেরোলেই যেন শরীরে লাগছে আগুনের হলকা, পুড়ছে চামড়া। এ অবস্থায় বেশি কষ্টে আছেন খেটে খাওয়া মানুষ। বিশেষ করে রিকশা-ভ্যান চালক বা দিনমজুররা তীব্র গরমে করছেন হাঁসফাঁস।

 
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সিলেটে ৩৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। বিকেলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।  

দেশে সাধারণত মার্চ-জুন মাসে গরম বেশি থাকে। তবে এবার সিলেটে ফেব্রুয়ারি থেকে তাপ ছড়াতে শুরু করে সূর্য। মে মাসে সিলেটে এক দশকের রেকর্ড ভঙ্গ করেছিলো তাপমাত্রা। ২৫ মে বিকাল ৩টায় সিলেটে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা চলতি বছরের- এমনকি ১০ বছরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো। এর আগে সিলেটে ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্র রের্কড হয়েছিলো।

এ বছর সূর্য তাপ ছড়াতে শুরু করলেই সেলসিয়াস ৩৫-৩৬ ডিগ্রিতে উঠে যায়। ফলে সিলেটে জনজীবন অতীষ্ট হয়ে পড়ে। 

গত তিন দিনের মতো শনিবারও বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সিলেট। কমে যায় মানুষের চলাচল। একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতে চাচ্ছেন না। বাইরে বেরনো খেটে খাওয়া মানুষরা একটু পর পর পান করছেন পানি, সতেজ রাখতে চেষ্টা করছেন নিজেদের। অনেকেই সড়কের পাশে বিক্রি করা ডাব, আইসক্রিম ও লেবুর শরবত কিনে খাচ্ছেন। 
 দরহাহে হযরত শাহজালাল রঃ গেইটে মামুন বাস সার্ভিসের কাউন্টার ম্যানেজার রিংকু ঘোষ জানান প্রচন্ড গরম পড়েছে যার ফলে পর্যটকদের উপস্থিতি কমে গেছে । টিকেট কাটায় কোনো চাপ নেই অলস সময় কাটছে। তিনি জানান এই অবস্থা চলতে থাকলে রুটি রোজগারে দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলবে।

এদিকে, সিলেট বিভাগে মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সংস্থাটি বলছে- আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

 

[hupso]