- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
- আজ সিলেট মুক্ত দিবস
- যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবি দিবস পালিত
- মিছবাহ উদ্দিন সিরাজের উপর দুর্বৃত্তদের হামলা
- সিলেটে মশকনিধন ও খাল পরিষ্কারের ব্যাপক কর্মসূচি শুরু করেছে সিটি করপোরেশন
» সিলেটের ডিসি নিয়োগ দিয়েই বাতিল, নতুন ডিসি শের মাহবুব মুরাদ
প্রকাশিত: ১০. সেপ্টেম্বর. ২০২৪ | মঙ্গলবার
সিলেটের নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) পি. কে. এম. এনামুল করিম দায়িত্ব পাওয়ার আগেই বদলি হয়েছেন। নিয়োগ দেওয়ার পরদিনই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে তাকে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের উপসচিব শের মাহবুব মুরাদকে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক প্রজ্ঞাপনে শের মাহবুব মুরাদকে নিয়োগ দেয়। একই প্রজ্ঞাপনে এনামুল করিমকে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
এর আগে সোমবার দেশের ২৫ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দেয় সরকার। এর মধ্যে সিলেটে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে পি কে এম এনামুল করিমকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিলো। তিনি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে নিয়োগের পরদিনই তাকে প্রত্যাহার করে নিল সরকার।
জানা যায়, ন্যায়বিচার পেতে ২০১৯ সালে ফেনীর তৎক্ষালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) পি কে এম এনামুল করিমের কাছে গিয়েছিলেন নুসরাত জাহান রাফি ও তার মা শিরিন আক্তার। কিন্তু ন্যায়বিচারের পরিবর্তে সে সময় নুসরাতের বিরুদ্ধে ‘নাটক’ সাজানোর অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
নুসরাতের মৃত্যুর আগে তার মা শিরিন আক্তারকে হুমকি দিয়ে পি কে এম এনামুল করিম বলেছিলেন, ‘আপনারা প্রিন্সিপাল সিরাজউদ্দৌলার বিরুদ্ধে যে মামলা করেছেন, তা প্রমাণ করতে না পারলে আপনাদের বিরুদ্ধে প্রিন্সিপালের লোকজন ৫০ লাখ টাকার মানহানি মামলা করবে।
জেলার সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার এমন কথায় সে সময় মানসিকভাবে পুরোপুরি ভেঙে পড়েন নুসরাত।
সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলার লোকজনের দেওয়া আগুনে পুড়ে ওই মাদরাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির মৃত্যুর পর তার মা শিরিন আক্তার পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেছিলেন, ৪ এপ্রিল বেলা ১১টার দিকে আমি, আমার মেয়ে রাফি, ছেলে নোমান, মাদরাসা কমিটির সভাপতিসহ ফেনী জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) পিকে এনামুল করিমের অফিসে গিয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগটি জানাতে চাই। তখন এডিএম বলেন, এখন কেন এসেছেন? আপনারা তো মামলা করে ফেলেছেন। মামলার করার আগে আসতেন, তা হলে দেখতাম কী করা যায়। এখন মামলায় যা হবে তা-ই হবে।
তখন রাফি এডিসিকে (এনামুল করিম) বলেন, আপনি আমার বাবার মতো। আপনি আমার কথাগুলো শোনেন।
রাফি মাদ্রাসার প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে তার অভিযোগটি জানানোর চেষ্টা করেন এডিসিকে। তখন এডিসি বলেন, প্রিন্সিপাল তো খারাপ, তা সবাই জানে। তুমি তার কাছে গেছ কেন? উত্তরে রাফি বলেন, আমি তো ইচ্ছা করে যাইনি। পিয়নকে দিয়ে প্রিন্সিপাল আমাকে ডেকে নিয়ে গেছেন।
তখন এডিসি বলেন, গেছই যখন, তখন হজম করতে পারলে না কেন? তোমার বাবাকে মাদরাসায় বসানোর জন্য এ রকম নাটক সাজিয়েছ?
এছাড়া আওয়ামী লীগের শাসনামলে ২০১৪ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফেনী শহরের এসএসকে সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানকালে এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে প্রকাশ্যে চড়-থাপ্পড় মেরেছিলেন সদর উপজেলার তৎক্ষালীন নির্বাহী কর্মকর্তা পি কে এম এনামুল করিম।
সিলেটের ডিসি হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়ার পর এসব বিষয় ফের সামনে আসে। সোমবার সংবাদমাধ্যমে এসব নিয়ে প্রতিবেদনও প্রকাশ হয়। এ অবস্থায় এক দিনের মাথায় পি কে এম এনামুল করিমকে সরিয়ে নেওয়া হলো সিলেট থেকে।
[hupso]