- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও জাতীয় চার নেতার স্বীকৃতি বাতিল করা হয়নিঃ মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়
- নতুন নোটের ছবি প্রকাশ করলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক
- এই বাজেট বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিহীন: আমীর খসরু
- সিলেটে এন্টি- করাপশন মুভমেন্ট জেলা আহবায়ক কমিটি গঠন।
- শাহজালাল রঃ উরুস উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রেস ব্রিফিং
- নেতাকর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত সাবেক জননন্দিত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী
- সিলেট জেলা প্রশাসককে আদালতের শোকজ
- দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত করা হলো মামুনকে
- ওসমানীতে ডাক্তারের বেপরোয়া আচরণ
- দৈনিক ৫ কোটি লিটার পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট নির্মাণ করবে সিলেট সিটি করপোরেশন
» এই বাজেট বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিহীন: আমীর খসরু
প্রকাশিত: ০৩. জুন. ২০২৫ | মঙ্গলবার

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেছেন, এই বাজেট বাস্তবতাবিবর্জিত এবং এতে গুণগত কিংবা কাঠামোগত কোনো পরিবর্তন নেই।সোমবার (২ জুন) বিকেলে রাজধানীর বনানীর হোটেল সেরিনায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “এই বাজেটের রাজস্ব আয়ের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার যদি ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়, তাহলে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ ব্যাহত হবে। রাজস্ব আয়ের পুরোটা চলে যাবে পরিচালন ব্যয়ে।”খসরু আরও বলেন, “রাজস্ব আয়ের ভিত্তিতে বাজেট তৈরি হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন নেই।”বাজেটের মৌলিক দিক নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “এই বাজেটে মৌলিক জায়গাগুলো উপেক্ষিত রয়েছে। গুণগত কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না। কাঠামোগত দিক থেকেও এটি আগের মতই রয়ে গেছে।”তিনি বলেন, রাজস্ব আয়ের ওপর ভিত্তি করে বাজেট দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে প্রাইভেট সেক্টরে টাকার সরবরাহ থাকবে, বিনিয়োগ থাকবে, ইন্টারেস্ট কমে আসতো, বিদেশি ঋণের পরিমাণ কমে আসতো ও সুদের হারও কম পেমেন্ট করতে হতো। কিন্তু আমরা সেই জায়গা থেকে সরে আসতে পারিনি। আমি মনে করি, প্রস্তাবিত বাজেটের এসব মৌলিক জায়গায় গলদ রয়ে গেছে।আমীর খসরু বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা সীমিত, কারণ তাদের একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে তাদের ক্ষমতার থাকার মেয়াদের ব্যবধান রয়েছে- এটা মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত- বিগত সরকার বাজেটের আকার বাড়াতে বাড়াতে যে জায়গায় নিয়ে গেছে, সেটার সঙ্গে রাজস্ব আয়ের কোনো সম্পর্ক নেই।বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, দ্বিতীয়- রাজস্ব আয়ের পুরোটাই পরিচালনা ব্যয়ের মধ্যে ব্যয় হয়ে যাবে। উন্নয়ন বাজেট দেশের ভেতর বা বাইরে থেকে ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে। সরকার যখন দেশের বাইরের থেকে ঋণ নিলে এর বোঝা বাড়তে থাকে এবং বছরের পর বছর দেশের মানুষকে এই সুদ দিতে হয়। এই কারণেই কিন্তু দেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ভুগতে থাকে। আর দেশের ভেতরের থেকে নিলে আবার বেশি ক্ষতি। কারণ দেশের ব্যাংক থেকে লোন নিলে ইন্টারেস্ট বেড়ে যায়। আবার ব্যক্তিখাতে লোনও কমে যায়। এর ফলে দেশে বিনিয়োগ হয় না, কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয় না, মানুষের আয় বৃদ্ধি পায় না। প্রাইভেট সেক্টর লোন না পেয়ে অনেকে বিনিয়োগও করতে পারে না। আমি মনে করি, রাজস্ব আয়ের সঙ্গে বাজেটের আকারের একটা সম্পৃক্ততা থাকা উচিত ছিল। কিন্তু এটা হয়নি। দেশের বাইরে ও ভেতর থেকে লোন নিতে গেলে এসব প্রভাবের কারণে অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে।এক প্রশ্নের জবাবে আমীর খসরু বলেন, বর্তমানে বৈদেশিক ঋণ ৩.৫ বিলিয়নের মতো। আমি মনে করি, বিদেশি ঋণ ও রাজস্ব আয়কে মাথা রাখলে এই বাজেটের আকার আরও ছোট হওয়া উচিত ছিল। গুণগত দিক থেকে এই বাজেটে কোনো পরিবর্তন হয়নি, শুধু সংখ্যায় সামান্য পরিবর্তন হয়েছে। কাঠামো কিন্তু একই রয়েছে। সুতরাং আগামী দিনে সরকারের জন্য সহজ কিছু হবে না।
[hupso]