- সিলেট সিটি করপোরেশন ৩ ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার লায়েক গ্রেফতার
- সিলেটের বন্যা প্রতিরোধে ইটনা- মিঠামইন-অস্ট্রগ্রাম সড়ক ভাঙ্গা হবে
- সিলেটে পুলিশের ৩ পদে অদল-বদল
- জয় বাংলা শ্লাোগানে মিছিল করার অপরাধে ছাত্রলীগের দুই নেতা আটক
- কানাইঘাটে ছাত্রদল নেতা খুন
- ড.ইউনুস গংদের পদত্যাগের দাবীতে লন্ডন যুবলীগের সমাবেশ
- জকিগঞ্জে মালামালসহ আগ্নেয়াস্ত্র জব্দ
- আলজেরিয়া বাংলাদেশে বানিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায়
- সিকৃবিতে বাঁধনের এক যুগ পুর্তি অনুষ্ঠিত
- সিলেট এমএ বিমান বন্দরকে পুর্নাঙ্গ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের দাবীতে সভা অনুষ্টিত ।
» সিলেটে ৬ টি আসনে আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী নেই
প্রকাশিত: ১৯. ডিসেম্বর. ২০২৩ | মঙ্গলবার
সারা দেশের মতো সিলেটেও নির্বাচনী উত্তাপ নেই। গত পরশু দিন তেকে প্রচারণা শুরু হলেও একমাত্র আওয়ামীলীগ প্রার্থীদের মাইকিং এবং দিনে এক দুবেলা মটর সাইকেল র্যালী ছাড়া অনকোন প্রার্থীদের কে কোথায় আছেন জানা যায়নি।
সিলেট জেলার সংসদীয় ৬টি আসনের মধ্যে দুই মন্ত্রীর আসনে নৌকার প্রতিদ্বন্দ্বী কোনো শক্ত প্রার্থীই নেই। জাতীয় পার্টি এ দুটি আসনে দলীয় মনোনয়ন দিলেও শেষ পর্যন্ত প্রার্থীরা নির্বাচনে অংশ নেননি। ফলে সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ও সিলেট-৪ আসনে প্রবাসী কল্যান মন্ত্রী ইমরান আহমদের জয় লাভ অনেকটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
সিলেট-১ আসনে ড. মোমেনের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে রয়েছেন সম্মিলিত মুক্তিজোট, এনপিপি, ইসলামী ঐক্যজোট ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী। মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের সাথে এসব প্রার্থীদের ভাল পরিচিতিই নেই। সিলেট-৪ আসনে প্রবাসী কল্যানমন্ত্রী ইমরান আহমদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ইসলামী ঐক্যজোট ও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী। এ আসনেও নৌকার সাথে অন্য প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
সিলেট-২ আসনে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রয়েছেন ৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে তিনজন সাবেক ও বর্তমান সংসদ সদস্য। আসনটিতে বেশ শক্ত অবস্থানে রয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী। শফিকুর রহমানের সাথে মুল প্রতিদ্বন্দ্বি হিসেবে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য, গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান ও সাবেক সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টির ইয়াহইয়া চৌধুরী। দশম সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের আর্শিবাদ নিয়ে ইয়াহইয়া চৌধুরী ও একাদশ নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে মোকাব্বির খান বিজয়ী হন। কিন্তু সংসদীয় আসনটিতে জাতীয় পার্টি ও গণফোরামের সাংগঠনিক শক্ত ভিত না থাকায় নৌকার সাথে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার সম্ভাবনা কম। এছাড়াও আসনটিতে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও এনপিপি’র প্রার্থী রয়েছেন। এদের অবস্থানও নড়বড়ে।
তবে সিলেট-৩ আসনে নিজ দলের স্বতন্ত্র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার মুখে পড়তে হবে বর্তমান সংসদ সদস্য নৌকার কান্ডারি হাবিবুর রহমান হাবিবকে। বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন-বিএমএ’র কেন্দ্রীয় মহাসচিব ডা. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় দলের একটি অংশ তার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। এছাড়া প্রয়াত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর অনুসারীরাও প্রকাশ্যে ও গোপেনে ডা. দুলালকে সমর্থন দিচ্ছেন।
অপরদিকে, আসনটিতে জাতীয় পার্টিরও ভালো ভোট ব্যাংক থাকায় আতিকুর রহমান আতিককেও শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী মেনে মাঠে নামতে হচ্ছে আওয়ামী লীগের হাবিবকে। তবে আসনটিতে ইসলামী ঐক্যফ্রন্ট, ইসলামী ঐক্যজোট ও এনপিপি’র প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে তারা ফ্যাক্টর নয় বলে মনে করছেন ভোটাররা।
সিলেট-৩ আসনের মতো একই অবস্থা সিলেট-৫ ও ৬ আসনে। এ দুটি আসনেও নৌকাকে অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বির সাথে মোকাবেলা করতে হচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় নেতাদের। সিলেট-৫ আসনে দলীয় প্রার্থী মাসুক উদ্দিন আহমদকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ড. আহমদ আল কবীর। মাসুকবিরোধী বলয়ের নেতারা আহমদ আল কবীরের সাথে অবস্থান নিয়েছেন।
এছাড়া এলাকায় আহমদ আল কবীরের নিজস্ব ভোট ব্যাংক থাকায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে তাকে বেশ সমীহ করতে হচ্ছে। আসনটি থেকে প্রার্থী হয়েছেন জাতীয় পার্টির শাব্বীর আহমদ ও ফুলতলী পীরের ছেলে আঞ্জুমানে আল ইসলাহর সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা হুছাম উদ্দিন চৌধুরী। জাতীয় পার্টি ও ফুলতলী পীরের ভক্ত-আশেকানদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক থাকায় এ দুই প্রার্থীকেও হিসেবে রেখে নির্বাচনী মাঠে নামতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। এ আসনে তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রার্থীও রয়েছেন।
সিলেট-৬ আসনে নৌকার প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের জয়ে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কানাডা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সরওয়ার হোসেন। সরওয়ার হোসেনের সাথে নাহিদবিরোদী বলয়ের নেতাকর্মীরা রয়েছেন।
এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় কাজ করায় ভোটারদের মধ্যে সরওয়ারের ব্যক্তি গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়েছে। এছাড়া আসনটি থেকে আরেক হেভিওয়েট প্রার্থী তৃণমূল বিএনপির চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী। কিন্তু এলাকায় শমসের মবিন চৌধুরী ও তার সংগঠনের ব্যাপক পরিচিতি না থাকায় এখনো ভোটের মাঠে আলোচনা সৃষ্টি করতে পারেননি তিনি।
[hupso]