- আল্লামা বালাউটি রহ ৫ম ঈসালে সাওয়াব মাহফিল সম্পন্ন |
- সিলেট সীমান্তে প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- আমাজনের জঙ্গলে স্বয়ংক্রিয় ক্যামেরায় নতুন এক সম্প্রদায়ের খোঁজ পাওয়া গেছে
- আওয়ামীগের করা প্রকল্পগুলো ৯৫ ভাগই বাতিলের তালিকায়
- সিলেট- সুনামগঞ্জ সীমান্তে ৩ কেটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
- শাপলা বিল থেকে ফেরার পথে তামাবিল সড়কে প্রাণ হারালো তিন তরুণ
- সিলেট আদালত পাড়ায় পুলিশের মাঝখানে নূুরুকে পেটালেন তারা
- সিলেট-১ সংসদীয় আসনে প্রার্থী নিশ্চিত করলো বিএনপি
- বিজয় দিবসে নুপুর বেতার শ্রোতা ক্লাবের পুষ্পার্ঘ্য অর্পন
- সিলেটে যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস উদযাপন
» মোঃ আলীর খুনিদের স্বীকারোক্তি
প্রকাশিত: ০৫. মে. ২০২৪ | রবিবার
সিলেট মহানগরের ছড়ারপারে কিশোর মো. আলী নিশা (১৭) হত্যার ঘটনায় কিশোর গ্যাংয়ের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা এ হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি রয়েছে। গ্রেফতারের পর এ ৪ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ সূত্র বলছে, আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে আসামীরা। আলীকে ছুরিকাঘাত করেছে প্রধান আসামী সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ উপজেলার জামলাবাজ গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে ফরহাদ মিয়া (২০)। তার ছুরিকাঘাতেই আলীর মৃত্যু হয়।
গ্রেফতারকৃত অন্য আসামীরা কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার মজলিশপুর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেল নূরনবী নুনু (১৯) ও একই থানার নোয়াহাটা গ্রামের নুর জামাল মিয়ার ছেলে রাহিম আহমদ (১৯) এবং হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানার বগি গ্রামের জাকারিয়া মিয়ার ছেলে সাকিব আহমদ (১৯)। তারা বর্তমানে সবাই ছড়ারপারের বিভিন্ন কলোনিতে থাকে। এদের মধ্যে ফরহাদ মামলার মূল আসামি।
শনিবার (৪ মে) রাত ১১টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং থানাধীন দত্তগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি রবিবার (৫ মে) বিকালে এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন এসএমপি’র মিডিয়া অফিসার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
খুন হওয়া মো. আলী নিশা কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুরের নূর আলীর ছেলে। পরিবারের সঙ্গে সে সিলেট মহানগরের ছড়ারপাড়ের একটি কলোনিতে বসবাস করতো।
শুক্রবার (৩ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে জন্মদিনের কেক কাটার কথা বলে তিনজন বন্ধু মো. আলীকে চালিবন্দরের পার্শ্ববর্তী মাছিমপুর ডেকে নেয়। সেখানে যাওয়ার পর তার উপর ওই ৩ বন্ধুসহ আরও কয়েকজন মিলে হামলা চালায়। এসময় মো. আলী দৌঁড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা চালায়। চালিবন্দর ভৈরব মন্দির সংলগ্ন এলাকায় আসার পর সে পড়ে গেলে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে সিলেট এমএমজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
সূত্র জানায়, মহানগরের ছড়ারপাড় ও কামালগড় এলাকার দুটি কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। ওই দ্বন্দ্বের জের ধরে খুন হয় মো. আলী।
ঘটনার পরদিন আলীর মা সফিনা খাতুন বাদি হয়ে ১১ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে সিলেট কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারের পর প্রধান আসামি ফরহাদের দেওয়া তথ্যমতে চালিবন্দরস্থ একটি গ্যারেজের পিছনে ময়লা ফেলার স্থান হতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু উদ্ধার করে পুলিশ।
অন্য আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম।
[hupso]